ভারত সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরা এলাকার জামবিল থেকে দিঘারকান্দা সেতু পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজ চলছে। সড়কের শুরু থেকে খোঁড়াখুঁড়ির না করে মাঝপথ থেকে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। এতে ছোট যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিলডোরা, দাড়িয়াকান্দা, বনগ্রাম, কাজিয়াকান্দা, শাকুয়াই, দিঘারকান্দা, আতুয়াজঙ্গল, সানন্দখিলাসহ ১৫টি গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সড়কের শুরু থেকে না খুঁড়ে সড়কের মাঝপথে খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে। সড়কে ইটের সলিং তুলে কয়েক মাস ধরে থেমে থেমে খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে। ইট-বালু রাখা হয়েছে দু’পাশে। এতে সড়কটি চলাচলের পুরোপুরি অনুপযোগী হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন লোকজন। ফলে লোকজন বাধ্য হয়ে বিভিন্ন পথ ঘুরে যাতায়াত করছেন। এতে কয়েকগুণ বেড়েছে যাতায়াত খরচ।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, তালদিঘি থেকে বালিয়া বাজার, কাইচাপুর বাজার, বিলসাটি বাজার, শাকুয়াই বাজার হয়ে মুন্সিরহাট পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে বনগ্রাম থেকে দিঘারকান্দা পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক চলতি বছরের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করতে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৭৩০ মিটার সিসি এবং বাকি রাস্তা কার্পেটিং করতে হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৯ হাজার ২৮৭ টাকা।
স্থানীয় খোকন বলেন, সড়কের শুরু থেকে কাজ না করে মাঝখান থেকে খোঁড়া হচ্ছে। ফলে যাতায়াতের এ প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এমনভাবে খুঁড়ে রাখা হয়েছে যে, সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার জায়গাটুকুও নেই। এরমধ্যে বৃষ্টি হলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়।
কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, সব ধরনের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এই সড়কটি ব্যবহার করেই বাজারে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কয়েকমাস যাবত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যেতে হচ্ছে। আবার কখনো খরচ বাচাতে কৃষিপণ্য বস্তায় ভরে মাথায় তুলে খোঁড়াখুঁড়ির এই সড়ক দিয়েই বাজারে নিয়ে যাই। সড়কটি ধীর গতিতে খোঁড়ায় ভোগান্তি চরম মাত্রায় পৌঁছেছে।
সড়কটির সংস্কার কাজ করছেন ঠিকাদার খাইরুল কবির রানা। তার মন্তব্য জানতে মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) হালুয়াঘাট উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, যেকোনো একদিক থেকে কাজ শুরু করলে এবং একটি অংশের কাজ শেষ করে পরের অংশে কাজ ধরলে মানুষের দুর্ভোগ কম হতো। এ ছাড়া কাজ ঢিলেঢালাভাবে করা হচ্ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়ছে।
তিনি বলেন, সড়কের ওপর থেকে ইট-বালু সরিয়ে কাজ করতে এরইমধ্যে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি নিরসন করতে দ্রুত গতিতে কাজ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের মান খারাপ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।