আজ ১১ এপ্রিল, বিশ্ব পারকিনসনস দিবস। প্রতিবছর এই দিনটি বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয়। এবারের বিশ্ব পারকিনসনস দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘ইউনাইট ফর পারকিনসনস’। দিবসটির বিশেষ আয়োজন করেছিল স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের নিউরোসায়েন্স সেন্টার। হাসপাতালের মিলনায়তনে গতকাল, ১০ এপ্রিল, পারকিনসনস আক্রান্ত রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি জীবনঘনিষ্ঠ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
পারকিনসনস সাধারণভাবে একধরনের ‘মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার’ হিসাবে পরিচিত, যা রোগীর স্বাভাবিক চলন শক্তিকে বাধাগ্রস্ত করে। এতে পেশি কাঁপে, গতি ধীরে হয়ে আসে এবং ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটতে হয়। একসময় ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চিকিৎসকদের জন্য বৈজ্ঞানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্কয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছাড়াও জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমী বক্তব্য দেন। তিনি পারকিনসনস রোগের চিকিৎসায় ওষুধ, বিশেষ ব্যায়াম এবং শল্যচিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে নিউরোলজির অধ্যাপক আলেসান্দ্রো ডি রোকো জানান, বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা স্নায়বিক রোগ হলো পারকিনসনস। তাই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।
স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া পারকিনসনস আক্রান্ত রোগীরা এবং তাঁদের স্বজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শেষে, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট মফিজুর রহমান বলেন, বয়স বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পারকিনসনস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পরিবেশের মারাত্মক দূষণকারী পদার্থও এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তিনি স্বাস্থ্যকর জীবনচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পারকিনসনস ইউনিট চালু করার স্বপ্নের কথা জানান স্কয়ার হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট মুহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান, যিনি মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার বিশেষজ্ঞ।