মাত্র আর ঘণ্টাখানেক পরই চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বর্ধিত ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। তবে গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো কিছু পণ্য কম শুল্কের মুখোমুখি হবে।
ট্রাম্প যেসব দেশের ওপর পাল্টা ‘সম্পূরক শুল্ক’ চাপিয়েছেন তার মধ্যে চীনের পণ্যে দেওয়া ৩৪ শতাংশ শুল্কের বদলায় বেইজিংও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে একই হারে শুল্ক বসিয়েছে। চীন মার্কিন পণ্যে আরোপিত এই ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করলে বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন রেখেছেন ট্রাম্প।
বিবিসি জানিয়েছে, বেইজিংয়ের দিক থেকে পিছু হটার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তারা মার্কিন পণ্যে চাপানো শুল্ক নিয়ে অটল আছে। ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মার্কিন পণ্যে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।
কিন্তু কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ১০৪ শতাংশ শুল্ক চীনকে কঠিনভাবে আঘাত করবে, এতে দেশটি তাদের অর্থনীতি পুনর্গঠিত করতে এবং ব্যাপকভাবে অভ্যন্তরীণ ভোগের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হবে।
৩৫ শতাংশের ওপরে কোনো শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রে বা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় রপ্তানির মাধ্যমে চীনের ব্যবসাগুলো যে লাভ করে তা বিলীন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ইউরেশিয়া গ্রুপ কনসালটেন্সির ড্যান ওয়াং।
তিনি বলেন, “এর উপরে কোনো শুল্ক একান্তই প্রতীকী।”
তিনি আরো জানান, চীনের রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির প্রায় ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ফস্কে যেতে পারে।
“কোভিড মহামারীর পর থেকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ২০ থেকে ৫০ শতাংশ রপ্তানির ওপর নির্ভর করছে। তাই প্রবৃদ্ধি অনেক কম হতে যাচ্ছে,” বলেছেন তিনি।
ব্রোকারেজ কোম্পানি কেসিএম ট্রেডের টিম ওয়াটারার বলেছেন, “চীনের অর্থনীতির রপ্তানি গতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে ১০৪ শতাংশ শুল্ক (চীনের জন্য) টেকসই হবে না। স্বল্পমেয়াদে তারা এটি সামাল দিতে পারবে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই শুল্কের চাপ থেকে বাঁচার জন্য চীনের অর্থনীতির পুনর্ভারসাম্য তৈরি করার মতো কাঠামোগত পরিবর্তন করা লাগতে পারে।”