ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
তেলের দাম কমায় প্লেনের ভাড়া কমানোর আহ্বান কবরের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত ভিসি ড. তৌফিক আলমের যোগদান রাজশাহীর দূর্গাপুরে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত সমাবর্তনে আসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ হিলি সীমান্তে ধানক্ষেতে ড্রোন, কৃষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ রাতভর কাকরাইলে অবস্থানের পর সকালেও জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গাজায় বসতভিটা গুঁড়িয়ে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত চায় ইসরাইল: ফাঁস হওয়া বৈঠকে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের হুমকিকে উপেক্ষা করে দৃঢ় বার্তা দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান রাজধানীতে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ১৯টি পশুর হাট, বাদ পড়লো আফতাবনগর ও মেরাদিয়া

পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম; অতঃপর আসামী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পলাতক

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামে ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসা এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার নেতৃত্বাধীন একটি দলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের মনপাল গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে তিনি নিজ গ্রামে এসেছিলেন। বর্তমানে তিনি লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

 

সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করেন, উত্তরদা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমরান হোসেনের নেতৃত্বে অন্তত ২৫ জন তার বাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাদ্দামের ভাই বেলাল হোসেন একজন সাবেক ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বর্তমানে পলাতক। কিছুদিন আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এমরান হোসেন বেলালের বাড়ির পাশে একটি দলীয় ব্যানার টাঙান। শিশুদের খেলাধুলার সময় ছুড়ে মারা ঢিলে ব্যানারটির কিছু অংশ ছিঁড়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমরান হোসেন ওই বাড়ির লোকজনকে গালাগাল করেন। রাতে তিনি এবং তার সমর্থকেরা দলবেঁধে বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে হইচই শুরু করলে সাদ্দাম মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে জানতে চান কী হচ্ছে। এতে এমরান ক্ষিপ্ত হয়ে সাদ্দামকে গালাগাল করেন। সাদ্দাম বাধা দিয়ে ঘরে ফিরে যান। কিছু সময় পরই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধর করে। সাদ্দাম, তার মা এবং ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা আহত হন।

 

জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, জীবন বাঁচাতে তিনি পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন, কিন্তু সেখানেও তাকে অনুসরণ করে মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এলে তারাও হামলার শিকার হন। আহতদের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

ঘটনার খবর পেয়ে লাকসাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, রাতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এলাকায় অভিযান চালায়।

 

লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।”

অভিযুক্ত এমরান হোসেন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

জনপ্রিয়

তেলের দাম কমায় প্লেনের ভাড়া কমানোর আহ্বান

পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম; অতঃপর আসামী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পলাতক

প্রকাশিত: ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামে ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসা এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার নেতৃত্বাধীন একটি দলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের মনপাল গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে তিনি নিজ গ্রামে এসেছিলেন। বর্তমানে তিনি লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

 

সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করেন, উত্তরদা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমরান হোসেনের নেতৃত্বে অন্তত ২৫ জন তার বাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাদ্দামের ভাই বেলাল হোসেন একজন সাবেক ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বর্তমানে পলাতক। কিছুদিন আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এমরান হোসেন বেলালের বাড়ির পাশে একটি দলীয় ব্যানার টাঙান। শিশুদের খেলাধুলার সময় ছুড়ে মারা ঢিলে ব্যানারটির কিছু অংশ ছিঁড়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমরান হোসেন ওই বাড়ির লোকজনকে গালাগাল করেন। রাতে তিনি এবং তার সমর্থকেরা দলবেঁধে বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে হইচই শুরু করলে সাদ্দাম মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে জানতে চান কী হচ্ছে। এতে এমরান ক্ষিপ্ত হয়ে সাদ্দামকে গালাগাল করেন। সাদ্দাম বাধা দিয়ে ঘরে ফিরে যান। কিছু সময় পরই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধর করে। সাদ্দাম, তার মা এবং ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা আহত হন।

 

জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, জীবন বাঁচাতে তিনি পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন, কিন্তু সেখানেও তাকে অনুসরণ করে মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এলে তারাও হামলার শিকার হন। আহতদের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

ঘটনার খবর পেয়ে লাকসাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, রাতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এলাকায় অভিযান চালায়।

 

লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।”

অভিযুক্ত এমরান হোসেন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।