ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক যশোরে জুলাই আহতদের চেক বিতরণে হট্টগোল, ভুয়া অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ অসীম ও অপু উকিলের জব্দ সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে একদিনের শোক, ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান: শহীদ পরিবারের মানববন্ধন, আওয়ামী সরকারের বিচার দাবি জুনের মধ্যেই আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় হজে নুসুক আইডি কার্ড হারালে কী করবেন? বাংলাদেশে উৎপাদিত শুটকির ৮৭ শতাংশ নিরাপদ, মাত্র ১৩ শতাংশে কীটনাশকের উপস্থিতি মে মাসের দুই শনিবার প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বড় পরিবর্তন: এককালীন উত্তোলনের সুযোগ ও ইসলামিক সংস্করণ চালুর পরিকল্পনা

আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক

দীর্ঘ আট বছর পর কুষ্টিয়ার গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের তিন নম্বর পাম্পটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে। জাপানি কোম্পানি ইবারা কর্পোরেশনের বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় এটি সংস্কার ও সচল করা হয়। এতে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরার কৃষকরা বাড়তি সেচ সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হওয়া সংস্কারকাজ শেষ হয় চলতি মে মাসে। প্রায় ১২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি সম্পন্ন করে ইবারা কর্পোরেশন।

 

জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হয়। চার জেলার ১৩টি উপজেলায় বিস্তৃত এই প্রকল্পে রয়েছে ৩টি প্রধান খাল, ৪৯টি শাখা খাল এবং ৪৪৪টি উপশাখা খাল। ১৯৫১ সালে জরিপ এবং ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক অনুমোদনের মাধ্যমে প্রকল্পটি শুরু হয়।

 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, অতীতে সীমিত পানির কারণে সেচে সমস্যা হতো এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যেত। কৃষক রুস্তুম আলী ও আহসান আলী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্যানালগুলোতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

 

পাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, বিদেশি প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় পুনরায় চালু হওয়া পাম্পটি এখন সচল রয়েছে এবং কৃষকরা নিরবিচ্ছিন্ন পানি পাবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ইরিগেশন কার্যক্রম নিয়মিত চালু রাখা সম্ভব হবে।

জনপ্রিয়

আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক

আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক

প্রকাশিত: ২ ঘন্টা আগে

দীর্ঘ আট বছর পর কুষ্টিয়ার গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের তিন নম্বর পাম্পটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে। জাপানি কোম্পানি ইবারা কর্পোরেশনের বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় এটি সংস্কার ও সচল করা হয়। এতে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরার কৃষকরা বাড়তি সেচ সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হওয়া সংস্কারকাজ শেষ হয় চলতি মে মাসে। প্রায় ১২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি সম্পন্ন করে ইবারা কর্পোরেশন।

 

জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হয়। চার জেলার ১৩টি উপজেলায় বিস্তৃত এই প্রকল্পে রয়েছে ৩টি প্রধান খাল, ৪৯টি শাখা খাল এবং ৪৪৪টি উপশাখা খাল। ১৯৫১ সালে জরিপ এবং ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক অনুমোদনের মাধ্যমে প্রকল্পটি শুরু হয়।

 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, অতীতে সীমিত পানির কারণে সেচে সমস্যা হতো এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যেত। কৃষক রুস্তুম আলী ও আহসান আলী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্যানালগুলোতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

 

পাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, বিদেশি প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় পুনরায় চালু হওয়া পাম্পটি এখন সচল রয়েছে এবং কৃষকরা নিরবিচ্ছিন্ন পানি পাবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ইরিগেশন কার্যক্রম নিয়মিত চালু রাখা সম্ভব হবে।