যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত নিয়মকে ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে এক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন জালুঝনি।
নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির সমালোচনা করে জালুঝনি বলেন, হোয়াইট হাউস পুরো পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শুক্রবার ওভাল অফিসে প্রকাশ্যে বাগ্বিতণ্ডার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তেজনা শীতল হওয়ার মধ্যে এই মন্তব্য করলেন জালুঝনি।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি স্থগিত করার পর, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কিয়েভ ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছে। জেলেনস্কিকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে বলা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
এদিকে, জালুঝনির বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড নিয়ে এখনও অসন্তোষ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে শুধু রাশিয়াই বিশ্ব ব্যবস্থাকে পুনর্বিবেচনা করার চেষ্টা করছে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রই শেষ পর্যন্ত এই ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে।’
ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনায় রাশিয়ার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন যুদ্ধাপরাধী প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়টি প্রমাণ করে যে হোয়াইট হাউজ ক্রেমলিনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে এবং তাদের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৪ সালে লন্ডনে কিয়েভের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন জালুঝনি। জালুঝনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, ওয়াশিংটনের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে ন্যাটোর অস্তিত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে এবং সতর্ক করে দেন যে, মস্কোর পরবর্তী লক্ষ্য ‘ইউরোপ হতে পারে।’
যদিও জেলেনস্কি ইউক্রেনের যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তারপরও কিয়েভ ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনা এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়াই মস্কোকে যে ছাড় দেয়া হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।