১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ৯০০ বারেরও বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যা এক নতুন মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, এসব হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন।
গাজার মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, “এই লঙ্ঘনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমান ও গোলাবর্ষণ হামলা, ব্যাপক ড্রোন তৎপরতা, মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা, সাধারণ নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা।”
তিনি আরও জানান, ইসরাইল গাজায় জ্বালানি প্রবেশে বাধা দিয়েছে, উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি আটকে দিয়েছে এবং ২ লাখ ৬০ হাজার তাঁবু ও অস্থায়ী আবাসন সরঞ্জাম প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি করেছে।
গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬, আহত ৪৯০
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে পৌঁছেছে এবং অন্তত ৪৯০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে ইসরাইল ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করছে। তাদের মতে, “মানবিক সহায়তাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ বাড়ানো সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”
ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনা
গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দেশটির ভেতরেও সমালোচনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটস পার্টির নেতা ইয়াইর গোলান বলেন, ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থি সরকার যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ এবং বন্দি বিনিময় আলোচনা থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে।
গাজার মানবিক সংকটের তীব্রতা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলেছে, যাতে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।