ইসলামের পবিত্র মাস রমজান শুরু হতে পারে আগামী শনিবার (১ মার্চ) বা রোববার (২ মার্চ)। সৌদি আরবের মক্কায় চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর নির্ভর করছে রমজানের প্রথম রোজার দিন। অন্যান্য দেশে, বিশেষ করে পশ্চিম গোলার্ধে, রমজান শুরু হতে পারে মক্কার আগেই।
রমজান মাস ইসলামি চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে নির্ধারিত হয়, যা চাঁদ দেখার মাধ্যমে শুরু হয়। সৌদি আরব ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো মাসের শুরু নির্ধারণের জন্য চাঁদ দেখা ব্যক্তিদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে থাকে। সাধারণত সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেলে তার পরদিন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চাঁদ দেখা যায়।
আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি, হিজরি ক্যালেন্ডারে শাবান মাসের ২৯তম দিন) সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওইদিন বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম পশ্চিমাকাশে নজর রাখবেন। চাঁদ দেখা গেলে রমজান মাস শুরু হবে এবং প্রথম রোজার দিন হবে ১ মার্চ। চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং প্রথম রোজার দিন হবে ২ মার্চ।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখতে পান এমন ব্যক্তিদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয় এবং দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রমজান কখন শুরু হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
যুক্তরাজ্যের নটিক্যাল আলমানাক অফিস পরিচালিত চাঁদ অনুসন্ধান বিষয়ক সংস্থা ‘ক্রিসেন্ট মুন ওয়াচ’র মতে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মক্কা সময় ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে রমজানের নতুন চাঁদ দেখা যাবে। ওইদিন শুধু প্রশান্ত মহাসাগরীয়, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে নতুন চাঁদ দেখা যাবে।
মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে চশমা বা অন্য কোনো যন্ত্রের সাহায্যে নতুন চাঁদ দেখতে পাবে এমন সম্ভাবনা কম। তবে ১ মার্চ বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে আকাশ পরিষ্কার থাকলে চশমা বা কোনো যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই চাঁদ দেখা যাবে। দক্ষিণ গোলার্ধের বেশিরভাগ দেশে রোজার প্রথম দিন সম্ভবত ২ মার্চ হবে।