ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
গ্রাম আদালত বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না: ধর্ম উপদেষ্টা মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতা নিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় স্থগিত করলেন চেম্বার আদালত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬.৭০ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে পিএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তি চবির সমাবর্তনের ১৮ হাজার সনদে নিজ হাতে স্বাক্ষর করছেন উপাচার্য উখিয়ায় চাকমা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রোহিঙ্গা যুবক আটক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্লাটফর্মের বিলুপ্তি চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা টঙ্গীতে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কানাডার ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

সহজ ভিসা নীতির কারণে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় কানাডা। কিন্তু অতিরিক্ত অভিবাসীর কারণে বিভিন্ন খাতে চাপ তৈরি হওয়ায় একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। এবার ভিসা নীতিতেও পরিবর্তন এনেছে তারা।

নতুন নীতিতে দেশটির সীমান্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে ভিসা বাতিল ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা। নীতি অনুযায়ী সীমান্ত কর্মকর্তারা বাতিল করতে পারবেন শিক্ষার্থী ভিসা ও কাজের অনুমোদনও। শুধু তাই নয়, সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন বিদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের। এ নিয়মের কারণে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই ভিসা নীতি প্রকাশ করা হয়। চলতি মাস থেকেই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, কানাডার সীমান্ত কর্মকর্তারা এখন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ও অস্থায়ী বসবাসের নথি প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া কাজের অনুমতি ও শিক্ষার্থী ভিসাও বাতিল করতে পারবেন তারা। তবে কিছু বিশেষ শর্ত পূরণ করতে না পারলেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, যদি একজন কর্মকর্তার মনে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কানাডা ছাড়বেন না, তবে তারা সেই ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারেন। এই নিয়মের আওতায় রয়েছেন এরই মধ্যে কানাডায় বসবাস করছেন এমন অভিবাসীরাও।

এমনকি কর্মকর্তারা প্রয়োজন মনে করলে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন। নতুন এই ভিসা নীতি চলতি মাস থেকে কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নিয়মের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে অভিবাসীদের মধ্যে। বিপদে পড়তে পারেন হাজার হাজার আন্তর্জাতিক কর্মী ও শিক্ষার্থী। এর আগে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে গেলো বছরের নভেম্বরে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিলো কানাডা।

জনপ্রিয়

গ্রাম আদালত বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন

কানাডার ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সহজ ভিসা নীতির কারণে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় কানাডা। কিন্তু অতিরিক্ত অভিবাসীর কারণে বিভিন্ন খাতে চাপ তৈরি হওয়ায় একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। এবার ভিসা নীতিতেও পরিবর্তন এনেছে তারা।

নতুন নীতিতে দেশটির সীমান্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে ভিসা বাতিল ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা। নীতি অনুযায়ী সীমান্ত কর্মকর্তারা বাতিল করতে পারবেন শিক্ষার্থী ভিসা ও কাজের অনুমোদনও। শুধু তাই নয়, সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন বিদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের। এ নিয়মের কারণে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই ভিসা নীতি প্রকাশ করা হয়। চলতি মাস থেকেই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, কানাডার সীমান্ত কর্মকর্তারা এখন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ও অস্থায়ী বসবাসের নথি প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া কাজের অনুমতি ও শিক্ষার্থী ভিসাও বাতিল করতে পারবেন তারা। তবে কিছু বিশেষ শর্ত পূরণ করতে না পারলেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, যদি একজন কর্মকর্তার মনে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কানাডা ছাড়বেন না, তবে তারা সেই ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারেন। এই নিয়মের আওতায় রয়েছেন এরই মধ্যে কানাডায় বসবাস করছেন এমন অভিবাসীরাও।

এমনকি কর্মকর্তারা প্রয়োজন মনে করলে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন। নতুন এই ভিসা নীতি চলতি মাস থেকে কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নিয়মের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে অভিবাসীদের মধ্যে। বিপদে পড়তে পারেন হাজার হাজার আন্তর্জাতিক কর্মী ও শিক্ষার্থী। এর আগে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে গেলো বছরের নভেম্বরে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিলো কানাডা।