ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
খুলনা-চট্টগ্রামসহ দেশের ৬ অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা নিজ স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করল রোহিঙ্গা এনজিও কর্মী লস অ্যাঞ্জেলেস ‘মুক্ত’ করার ঘোষণা ট্রাম্পের, কারফিউ, বিক্ষোভ অনেক রাজ্যে চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ সাধারণ মানুষ: মাওলানা রাব্বানী জুলাইয়ের প্রথমার্ধেই এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের সম্ভাবনা নির্বাচিত সরকারের অংশ হতে চান না: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতির নিরাপত্তায় আপাতত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক চট্টগ্রামে করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত আরও এক যুবক, বাড়ছে উদ্বেগ মিয়ানমারে অপহৃত দুলালকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনল বিজিবি

কানাডার ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

সহজ ভিসা নীতির কারণে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় কানাডা। কিন্তু অতিরিক্ত অভিবাসীর কারণে বিভিন্ন খাতে চাপ তৈরি হওয়ায় একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। এবার ভিসা নীতিতেও পরিবর্তন এনেছে তারা।

নতুন নীতিতে দেশটির সীমান্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে ভিসা বাতিল ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা। নীতি অনুযায়ী সীমান্ত কর্মকর্তারা বাতিল করতে পারবেন শিক্ষার্থী ভিসা ও কাজের অনুমোদনও। শুধু তাই নয়, সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন বিদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের। এ নিয়মের কারণে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই ভিসা নীতি প্রকাশ করা হয়। চলতি মাস থেকেই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, কানাডার সীমান্ত কর্মকর্তারা এখন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ও অস্থায়ী বসবাসের নথি প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া কাজের অনুমতি ও শিক্ষার্থী ভিসাও বাতিল করতে পারবেন তারা। তবে কিছু বিশেষ শর্ত পূরণ করতে না পারলেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, যদি একজন কর্মকর্তার মনে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কানাডা ছাড়বেন না, তবে তারা সেই ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারেন। এই নিয়মের আওতায় রয়েছেন এরই মধ্যে কানাডায় বসবাস করছেন এমন অভিবাসীরাও।

এমনকি কর্মকর্তারা প্রয়োজন মনে করলে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন। নতুন এই ভিসা নীতি চলতি মাস থেকে কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নিয়মের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে অভিবাসীদের মধ্যে। বিপদে পড়তে পারেন হাজার হাজার আন্তর্জাতিক কর্মী ও শিক্ষার্থী। এর আগে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে গেলো বছরের নভেম্বরে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিলো কানাডা।

জনপ্রিয়

খুলনা-চট্টগ্রামসহ দেশের ৬ অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা

কানাডার ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সহজ ভিসা নীতির কারণে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় কানাডা। কিন্তু অতিরিক্ত অভিবাসীর কারণে বিভিন্ন খাতে চাপ তৈরি হওয়ায় একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। এবার ভিসা নীতিতেও পরিবর্তন এনেছে তারা।

নতুন নীতিতে দেশটির সীমান্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে ভিসা বাতিল ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা। নীতি অনুযায়ী সীমান্ত কর্মকর্তারা বাতিল করতে পারবেন শিক্ষার্থী ভিসা ও কাজের অনুমোদনও। শুধু তাই নয়, সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন বিদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের। এ নিয়মের কারণে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই ভিসা নীতি প্রকাশ করা হয়। চলতি মাস থেকেই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, কানাডার সীমান্ত কর্মকর্তারা এখন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ও অস্থায়ী বসবাসের নথি প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া কাজের অনুমতি ও শিক্ষার্থী ভিসাও বাতিল করতে পারবেন তারা। তবে কিছু বিশেষ শর্ত পূরণ করতে না পারলেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, যদি একজন কর্মকর্তার মনে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কানাডা ছাড়বেন না, তবে তারা সেই ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারেন। এই নিয়মের আওতায় রয়েছেন এরই মধ্যে কানাডায় বসবাস করছেন এমন অভিবাসীরাও।

এমনকি কর্মকর্তারা প্রয়োজন মনে করলে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন। নতুন এই ভিসা নীতি চলতি মাস থেকে কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নিয়মের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে অভিবাসীদের মধ্যে। বিপদে পড়তে পারেন হাজার হাজার আন্তর্জাতিক কর্মী ও শিক্ষার্থী। এর আগে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে গেলো বছরের নভেম্বরে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিলো কানাডা।