ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে গাইবান্ধার সাহাবুল ইসলাম বহিষ্কার আসামি গ্রেফতারে পূর্বানুমতির আদেশ চেম্বার আদালতেও স্থগিত ডিএনসিসিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি: অযথা হর্ন বাজানো গাড়ির চালক শনাক্তে উদ্যোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘ভালো মশা’: বাংলাদেশে উলবাকিয়া প্রযুক্তির সফল অগ্রগতি পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস, শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ তদন্তের মুখে বাংলাদেশ পুলিশের ৯ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৫ কর্মকর্তার বদলি সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক মানুষ প্রবেশ করানো গ্রহণযোগ্য নয়: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকু পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৫.৬৭ বিলিয়ন ডলারে ১০ মে থেকে শুরু ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’

বাংলাদেশ ইস্যু আমি মোদির ওপরই ছেড়ে দেবোঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোয়াইট হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে আলোচিত হলো বাংলাদেশ।

সাংবাদিক জানতে চান, “বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে জড়িত ছিল কিনা, এবং সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূস এবং জুনিয়র সোরোসের বৈঠকে তা প্রমাণিত হয়েছে বলে। তাই বাংলাদেশ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?”

ট্রাম্প জবাব দেন, “না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন এবং এটি নিয়ে ভারত শত বছর ধরে কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো,” এবং নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করেন।

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারতই সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি এবং বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকা এখন ভারতকে ডিঙ্গিয়ে কোনো ধরনের সক্রিয়তা বা হস্তক্ষেপ দেখাতে চাইবে না, এমনটাই ব্যাখ্যা করেছেন দিল্লির কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটাই প্রথমবার আমেরিকার শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে ভারত এতটা আশাব্যঞ্জক বার্তা পেলো। যদিও ট্রাম্পের ‘ট্যারিফ যুদ্ধ’ বিষয়টি নিয়ে সংশয় ছিল।

হোয়াইট হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঘণ্টাখানেক আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে আমেরিকার পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক বসানো দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ লাগু হবে। এর ফলে ভারতের মতো দেশের ওপরও পাল্টা শুল্ক বসবে।

তবে বৈঠকে বাংলাদেশের বিষয়ও বিশদে আলোচিত হয়। বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ট্রাম্প বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ হওয়ার নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

মোদি আরও বৈঠক করেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে, যেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও আলোচিত হয়।

জনপ্রিয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার

বাংলাদেশ ইস্যু আমি মোদির ওপরই ছেড়ে দেবোঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোয়াইট হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে আলোচিত হলো বাংলাদেশ।

সাংবাদিক জানতে চান, “বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে জড়িত ছিল কিনা, এবং সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূস এবং জুনিয়র সোরোসের বৈঠকে তা প্রমাণিত হয়েছে বলে। তাই বাংলাদেশ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?”

ট্রাম্প জবাব দেন, “না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন এবং এটি নিয়ে ভারত শত বছর ধরে কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো,” এবং নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করেন।

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারতই সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি এবং বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকা এখন ভারতকে ডিঙ্গিয়ে কোনো ধরনের সক্রিয়তা বা হস্তক্ষেপ দেখাতে চাইবে না, এমনটাই ব্যাখ্যা করেছেন দিল্লির কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটাই প্রথমবার আমেরিকার শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে ভারত এতটা আশাব্যঞ্জক বার্তা পেলো। যদিও ট্রাম্পের ‘ট্যারিফ যুদ্ধ’ বিষয়টি নিয়ে সংশয় ছিল।

হোয়াইট হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঘণ্টাখানেক আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে আমেরিকার পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক বসানো দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ লাগু হবে। এর ফলে ভারতের মতো দেশের ওপরও পাল্টা শুল্ক বসবে।

তবে বৈঠকে বাংলাদেশের বিষয়ও বিশদে আলোচিত হয়। বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ট্রাম্প বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ হওয়ার নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

মোদি আরও বৈঠক করেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে, যেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও আলোচিত হয়।