ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ছাত্রলীগ সহ ২৮ ইন্টার্ন চিকিৎসক বহিষ্কার

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ক্যাম্পাস ও হোস্টেল এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদক সংক্রান্ত অভিযোগের কারণে ২৮ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অধ্যাপক ডা. জিম্মা হোসেনকে সভাপতি ও ডা. মো. বদর উদ্দীনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ২৮ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে কলেজ ক্যাম্পাস এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মমেক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনুপম সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান, এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সদস্যরা। তাদের মধ্যে আছেন মাশফিক আনোয়ার, মেহেদী হাসান শিমুল, অনুপম দত্ত অর্ঘ, মাহিদুল হক অয়ন, জাহিদুল ইসলাম তুষার, এবং আরও অনেকে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. নাজমুল আলম খান বলেন, “মেডিকেল কলেজের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং শিক্ষামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।”

এদিকে, কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ঘটনার কারণে উদ্বেগ ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই পদক্ষেপ কলেজের স্বচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে এবং সঠিকভাবে তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের ফলে কলেজের সুনাম এবং শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় কিছুটা সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি দ্রুততার সাথে কাজ শুরু করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে পারলে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ছাত্রলীগ সহ ২৮ ইন্টার্ন চিকিৎসক বহিষ্কার

প্রকাশিত: ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ক্যাম্পাস ও হোস্টেল এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদক সংক্রান্ত অভিযোগের কারণে ২৮ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অধ্যাপক ডা. জিম্মা হোসেনকে সভাপতি ও ডা. মো. বদর উদ্দীনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ২৮ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে কলেজ ক্যাম্পাস এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মমেক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনুপম সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান, এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সদস্যরা। তাদের মধ্যে আছেন মাশফিক আনোয়ার, মেহেদী হাসান শিমুল, অনুপম দত্ত অর্ঘ, মাহিদুল হক অয়ন, জাহিদুল ইসলাম তুষার, এবং আরও অনেকে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. নাজমুল আলম খান বলেন, “মেডিকেল কলেজের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং শিক্ষামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।”

এদিকে, কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ঘটনার কারণে উদ্বেগ ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই পদক্ষেপ কলেজের স্বচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে এবং সঠিকভাবে তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের ফলে কলেজের সুনাম এবং শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় কিছুটা সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি দ্রুততার সাথে কাজ শুরু করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে পারলে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।