ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা হজ্বের নতুন বিধিমালা প্রকাশ করল সৌদি আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে বিগত বছরে ৬ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি গাজায় ৩০ হাজার তরুণ যোদ্ধা নিয়োগ: প্রতিরোধ শক্তির নতুন দিগন্ত আফগান বিমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন তালিবানের ১০ জন পাইলট কালবৈশাখী ঝড়ে মীরসরাইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হাটহাজারীতে গভীর রাতে ডাকাতি, গৃহকর্তাকে কুপিয়ে জখম বুরকিনায় ৪টি শত্রু শিবিরে মুজাহিদদের হামলা: অন্তত ১৭ জান্তা সেনা নিহত ফিলিস্তিনপন্থী ১৫০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো আমেরিকা

নিউইয়র্ক টাইমসকে জাতিসংঘ মহাসচিব গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘জাতিগত নিধন’র সামিল

গাজাবাসীদের স্থানান্তর ও ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘জাতিগত নিধন’র সামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক ফারনাজ ফাসিহির গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ উত্তর দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক ফারনাজ ফাসিহির প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার জনসংখ্যা স্থানান্তর এবং ফিলিস্তিনি উপত্যকার উন্নয়নে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘জাতিগত নিধন’র সামিল হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিউইয়র্ক টাইমসের জাতিসংঘ ব্যুরো প্রধান ফাসিহি আর জানান, গুতেরেস বলেছেন,‘ ট্রাম্পের পরিকল্পনা চিরকালের জন্য একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে অসম্ভব করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। ’

এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়ে ন্যক্কারজনক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করবে এবং আমরা এটিকে পুনর্গঠন করব। আমরা সেখানে থাকা বিপজ্জনক বোমা ও অন্যান্য অস্ত্র ধ্বংস করব, বিধ্বস্ত ভবনগুলো সরিয়ে ফেলব, মাটি সমান করব এবং এমন একটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাব যা মানুষকে বিপুল কর্মসংস্থান ও বাসস্থান দেবে।’

তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, এই কর্মসংস্থান কার জন্য হবে, কারণ তিনি একইসঙ্গে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি নাটকীয় কিছু বলতে চাই না, মজার কিছু বলতেও চাই না।’ এরপর তিনি গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ বানানোর ইচ্ছার কথা জানান এবং বলেন, ‘এটি একেবারে অপূর্ব হতে পারে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান গাজা যুদ্ধবিরতি একটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দিকে নিয়ে যাবে, যা ‘রক্তপাত ও হত্যাযজ্ঞ স্থায়ীভাবে বন্ধ করবে।’

জনপ্রিয়

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম

নিউইয়র্ক টাইমসকে জাতিসংঘ মহাসচিব গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘জাতিগত নিধন’র সামিল

প্রকাশিত: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজাবাসীদের স্থানান্তর ও ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘জাতিগত নিধন’র সামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক ফারনাজ ফাসিহির গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ উত্তর দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক ফারনাজ ফাসিহির প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার জনসংখ্যা স্থানান্তর এবং ফিলিস্তিনি উপত্যকার উন্নয়নে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘জাতিগত নিধন’র সামিল হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিউইয়র্ক টাইমসের জাতিসংঘ ব্যুরো প্রধান ফাসিহি আর জানান, গুতেরেস বলেছেন,‘ ট্রাম্পের পরিকল্পনা চিরকালের জন্য একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে অসম্ভব করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। ’

এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়ে ন্যক্কারজনক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করবে এবং আমরা এটিকে পুনর্গঠন করব। আমরা সেখানে থাকা বিপজ্জনক বোমা ও অন্যান্য অস্ত্র ধ্বংস করব, বিধ্বস্ত ভবনগুলো সরিয়ে ফেলব, মাটি সমান করব এবং এমন একটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাব যা মানুষকে বিপুল কর্মসংস্থান ও বাসস্থান দেবে।’

তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, এই কর্মসংস্থান কার জন্য হবে, কারণ তিনি একইসঙ্গে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি নাটকীয় কিছু বলতে চাই না, মজার কিছু বলতেও চাই না।’ এরপর তিনি গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ বানানোর ইচ্ছার কথা জানান এবং বলেন, ‘এটি একেবারে অপূর্ব হতে পারে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান গাজা যুদ্ধবিরতি একটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দিকে নিয়ে যাবে, যা ‘রক্তপাত ও হত্যাযজ্ঞ স্থায়ীভাবে বন্ধ করবে।’