ঢাকা , সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

ফের হাড় কাঁপানো শীত, মাসের শেষে ২ শৈত্যপ্রবাহ

পৌষ মাসের এই শেষ সময়ে হঠাৎ উষ্ণতা বেড়ে গিয়েছিল। চার দিন ধরে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল তাপমাত্রা। এই ব্যতিক্রম আবহাওয়ার অবসান হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। এই তীব্রতা যে আসছে, তা টের পাওয়া যায় সকাল থেকে। রাজধানীতে সকাল শুরু হয় কুয়াশার ঘেরাটোপে। সেই কুয়াশা কেটে রোদের দেখা মিলতে দুপুর গড়িয়ে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এখন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে শীত। এভাবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একটি শৈত্যপ্রবাহ। আকারের দিক থেকে এটি মৃদু থেকে মাঝারি হতে পারে। ওই সময় সারাদেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা গড়ে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে– ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ডে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, যা আরও কয়েক দিন থাকবে। কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

ঠান্ডা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ। শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। গত কয়েক দিনে ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআর,বি) ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেলা শহরগুলোতেও হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে। জানুয়ারির শেষ ১০ দিনে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

ফের হাড় কাঁপানো শীত, মাসের শেষে ২ শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

পৌষ মাসের এই শেষ সময়ে হঠাৎ উষ্ণতা বেড়ে গিয়েছিল। চার দিন ধরে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল তাপমাত্রা। এই ব্যতিক্রম আবহাওয়ার অবসান হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। এই তীব্রতা যে আসছে, তা টের পাওয়া যায় সকাল থেকে। রাজধানীতে সকাল শুরু হয় কুয়াশার ঘেরাটোপে। সেই কুয়াশা কেটে রোদের দেখা মিলতে দুপুর গড়িয়ে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এখন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে শীত। এভাবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একটি শৈত্যপ্রবাহ। আকারের দিক থেকে এটি মৃদু থেকে মাঝারি হতে পারে। ওই সময় সারাদেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা গড়ে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে– ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ডে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, যা আরও কয়েক দিন থাকবে। কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

ঠান্ডা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ। শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। গত কয়েক দিনে ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআর,বি) ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেলা শহরগুলোতেও হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে। জানুয়ারির শেষ ১০ দিনে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।