ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে গাইবান্ধার সাহাবুল ইসলাম বহিষ্কার আসামি গ্রেফতারে পূর্বানুমতির আদেশ চেম্বার আদালতেও স্থগিত ডিএনসিসিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি: অযথা হর্ন বাজানো গাড়ির চালক শনাক্তে উদ্যোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘ভালো মশা’: বাংলাদেশে উলবাকিয়া প্রযুক্তির সফল অগ্রগতি পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস, শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ তদন্তের মুখে বাংলাদেশ পুলিশের ৯ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৫ কর্মকর্তার বদলি সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক মানুষ প্রবেশ করানো গ্রহণযোগ্য নয়: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকু পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৫.৬৭ বিলিয়ন ডলারে ১০ মে থেকে শুরু ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’

শিক্ষার্থীদের ৯ দাবি, চবি প্রশাসনের ৭ সদস্যের কমিটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ শিক্ষার্থীদের ৯ দফা এবং অন্যান্য দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির দ্বিতীয় সভায় ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মো. শামীম উদ্দিন খান। গতকাল শনিবার গঠিত কমিটিতে অন্যদের মধ্যে আছেন উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এসএম নছরুল কদির, প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হাসমত আলী, প্রফেসর ড. এন এম সাজ্জাদুল হক, ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং সদস্য সচিব প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।

 

কমিটি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে এই কমিটি তৎপর থাকবে বলে জানায় প্রশাসন। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিল না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের চলমান এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

জানা গেছে, গত কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিল, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে। পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে বন্ধ হলগুলোতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে এবং কটেজের শিক্ষার্থীদেরও হলের মেসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে। অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে। অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই–মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইন ভিত্তিক করতে হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার এবং ক্যাম্পাসে ও শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

জনপ্রিয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার

শিক্ষার্থীদের ৯ দাবি, চবি প্রশাসনের ৭ সদস্যের কমিটি

প্রকাশিত: ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ শিক্ষার্থীদের ৯ দফা এবং অন্যান্য দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির দ্বিতীয় সভায় ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মো. শামীম উদ্দিন খান। গতকাল শনিবার গঠিত কমিটিতে অন্যদের মধ্যে আছেন উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এসএম নছরুল কদির, প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হাসমত আলী, প্রফেসর ড. এন এম সাজ্জাদুল হক, ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং সদস্য সচিব প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।

 

কমিটি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে এই কমিটি তৎপর থাকবে বলে জানায় প্রশাসন। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিল না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের চলমান এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

জানা গেছে, গত কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিল, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে। পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে বন্ধ হলগুলোতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে এবং কটেজের শিক্ষার্থীদেরও হলের মেসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে। অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে। অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই–মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইন ভিত্তিক করতে হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার এবং ক্যাম্পাসে ও শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।