ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

ইরান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল ছুটছে ইসরায়েলে! সমগ্র ইসরাইল জুড়ে রেড এলার্ট জারি!

ইরান থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কেঁপে উঠলো ইসরায়েল। ইরানের ছোড়াগুলো ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছেছে। ইরান এবং ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টদের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার পর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এবারের মতো হামলা ‌সমাপ্ত বলেও জানিয়েছে ইরান।
ইরানের মিসাইল হামলা শেষ হওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এরপর তারা মিসাইল হামলার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা শুরু করেন। এর আগে ইরান হামলা চালানোর আগে তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলে সতর্কতা জারি করা হয়। ওই সময় সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, মানুষ নিরাপদ জায়গায় চলে যান।

আগা সাইয়্যেদ, আল-ওয়াদা ওয়াফা বলেন,
আমরা ইরানিরা আজ রাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি এবং শহীদ হানিয়াহের প্রতিশোধ নিয়েছি। ইহুদিবাদী শাসক খুব ভালো করেই জানে যে, তার প্রতিটি পদক্ষেপই এর চেয়েও ভারী থাপ্পড় পড়বে।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে ওই সদর দপ্তর খালি করে ফেলা হয়েছে।

 

এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ওই সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় থাকা ইরানি শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছিল। তখন উভয় পক্ষই বড় ধরনের যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইরানের নতুন হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে চলমান পরিস্থিতি ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

ইরান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল ছুটছে ইসরায়েলে! সমগ্র ইসরাইল জুড়ে রেড এলার্ট জারি!

প্রকাশিত: ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

ইরান থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কেঁপে উঠলো ইসরায়েল। ইরানের ছোড়াগুলো ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছেছে। ইরান এবং ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টদের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার পর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এবারের মতো হামলা ‌সমাপ্ত বলেও জানিয়েছে ইরান।
ইরানের মিসাইল হামলা শেষ হওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এরপর তারা মিসাইল হামলার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা শুরু করেন। এর আগে ইরান হামলা চালানোর আগে তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলে সতর্কতা জারি করা হয়। ওই সময় সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, মানুষ নিরাপদ জায়গায় চলে যান।

আগা সাইয়্যেদ, আল-ওয়াদা ওয়াফা বলেন,
আমরা ইরানিরা আজ রাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি এবং শহীদ হানিয়াহের প্রতিশোধ নিয়েছি। ইহুদিবাদী শাসক খুব ভালো করেই জানে যে, তার প্রতিটি পদক্ষেপই এর চেয়েও ভারী থাপ্পড় পড়বে।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে ওই সদর দপ্তর খালি করে ফেলা হয়েছে।

 

এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ওই সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় থাকা ইরানি শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছিল। তখন উভয় পক্ষই বড় ধরনের যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইরানের নতুন হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে চলমান পরিস্থিতি ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।