ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

ইরান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল ছুটছে ইসরায়েলে! সমগ্র ইসরাইল জুড়ে রেড এলার্ট জারি!

ইরান থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কেঁপে উঠলো ইসরায়েল। ইরানের ছোড়াগুলো ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছেছে। ইরান এবং ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টদের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার পর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এবারের মতো হামলা ‌সমাপ্ত বলেও জানিয়েছে ইরান।
ইরানের মিসাইল হামলা শেষ হওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এরপর তারা মিসাইল হামলার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা শুরু করেন। এর আগে ইরান হামলা চালানোর আগে তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলে সতর্কতা জারি করা হয়। ওই সময় সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, মানুষ নিরাপদ জায়গায় চলে যান।

আগা সাইয়্যেদ, আল-ওয়াদা ওয়াফা বলেন,
আমরা ইরানিরা আজ রাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি এবং শহীদ হানিয়াহের প্রতিশোধ নিয়েছি। ইহুদিবাদী শাসক খুব ভালো করেই জানে যে, তার প্রতিটি পদক্ষেপই এর চেয়েও ভারী থাপ্পড় পড়বে।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে ওই সদর দপ্তর খালি করে ফেলা হয়েছে।

 

এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ওই সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় থাকা ইরানি শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছিল। তখন উভয় পক্ষই বড় ধরনের যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইরানের নতুন হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে চলমান পরিস্থিতি ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

ইরান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল ছুটছে ইসরায়েলে! সমগ্র ইসরাইল জুড়ে রেড এলার্ট জারি!

প্রকাশিত: ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

ইরান থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কেঁপে উঠলো ইসরায়েল। ইরানের ছোড়াগুলো ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছেছে। ইরান এবং ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টদের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার পর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এবারের মতো হামলা ‌সমাপ্ত বলেও জানিয়েছে ইরান।
ইরানের মিসাইল হামলা শেষ হওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এরপর তারা মিসাইল হামলার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা শুরু করেন। এর আগে ইরান হামলা চালানোর আগে তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলে সতর্কতা জারি করা হয়। ওই সময় সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, মানুষ নিরাপদ জায়গায় চলে যান।

আগা সাইয়্যেদ, আল-ওয়াদা ওয়াফা বলেন,
আমরা ইরানিরা আজ রাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি এবং শহীদ হানিয়াহের প্রতিশোধ নিয়েছি। ইহুদিবাদী শাসক খুব ভালো করেই জানে যে, তার প্রতিটি পদক্ষেপই এর চেয়েও ভারী থাপ্পড় পড়বে।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে ওই সদর দপ্তর খালি করে ফেলা হয়েছে।

 

এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ওই সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় থাকা ইরানি শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছিল। তখন উভয় পক্ষই বড় ধরনের যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইরানের নতুন হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে চলমান পরিস্থিতি ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।