ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন , শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই,নিহত ২

কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং পুড়ছে পাঁচ শতাধিক বসত-ঘরসহ নানা স্থাপনা। ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিটের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কুতুপালংয়ে লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে নিহতদের মধ্যে এক শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

স্থানীয়দের বরাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসত ঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসত ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসনসহ স্থানীয়দের খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়।

পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

স্থানীয়রা ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে।

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে ফায়ার সার্ভিস-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে।

জনপ্রিয়

রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন , শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই,নিহত ২

প্রকাশিত: ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং পুড়ছে পাঁচ শতাধিক বসত-ঘরসহ নানা স্থাপনা। ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিটের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কুতুপালংয়ে লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে নিহতদের মধ্যে এক শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

স্থানীয়দের বরাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসত ঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসত ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসনসহ স্থানীয়দের খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়।

পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

স্থানীয়রা ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে।

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে ফায়ার সার্ভিস-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে।