ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি চাঁদপুরে পুকুর খননের সময় মিলল পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে আইন উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার

আবারও ইসরাইলি হামলায় লেবাননে ২৪ ঘন্টায় নিহত ৫৯

দখলদার ইসরাইলের বিমান ও স্থল বাহিনীর অভিযানে লেবাননে একদিনে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন।আর আহত হয়েছেন ১১২ জন।লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার(২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,সর্বশেষ এই হতাহতের ঘটনার পর ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত এক বছরে লেবাননে মোট নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ৬৪২ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৫৬ জনে পৌঁছেছে।

ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পারে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল।এই দক্ষিণাঞ্চলেই বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি।গোষ্ঠীটির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে।

ইরানের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হিজবুল্লাহ জন্মলগ্ন থেকেই ইসরাইল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত দশকগুলোতে সীমান্ত অঞ্চলে ইসরাইলের সঙ্গে বিভিন্ন সংঘাতে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ,তবে উভয়পক্ষের সংঘাত গুরুতর রূপ নিয়েছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ।পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরাইলও।

প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে সংঘাত চলার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরাইলের বিমানবাহিনী।সেই অভিযান শুরুর ১০ দিনের মধ্যে নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার।এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়ে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

জনপ্রিয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ

আবারও ইসরাইলি হামলায় লেবাননে ২৪ ঘন্টায় নিহত ৫৯

প্রকাশিত: ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দখলদার ইসরাইলের বিমান ও স্থল বাহিনীর অভিযানে লেবাননে একদিনে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন।আর আহত হয়েছেন ১১২ জন।লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার(২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,সর্বশেষ এই হতাহতের ঘটনার পর ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত এক বছরে লেবাননে মোট নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ৬৪২ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৫৬ জনে পৌঁছেছে।

ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পারে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল।এই দক্ষিণাঞ্চলেই বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি।গোষ্ঠীটির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে।

ইরানের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হিজবুল্লাহ জন্মলগ্ন থেকেই ইসরাইল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত দশকগুলোতে সীমান্ত অঞ্চলে ইসরাইলের সঙ্গে বিভিন্ন সংঘাতে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ,তবে উভয়পক্ষের সংঘাত গুরুতর রূপ নিয়েছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ।পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরাইলও।

প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে সংঘাত চলার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরাইলের বিমানবাহিনী।সেই অভিযান শুরুর ১০ দিনের মধ্যে নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার।এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়ে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।