ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

বাজার পরিস্থিতি ও আয়-ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা

  • সুমাইয়া আকতার
  • প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ২০০২৭ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতা অর্জনের ৫৩ বছর পেরোলেও আমাদের দেশ দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে রয়েছে এখনও। দেশে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জনের বদলে মানুষ হয়েছে প্রতারিত ও নিষ্পেষিত।আর্থ-সামাজিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক খাতে ঘটেছে অব্যবস্থাপনা, টাকা পাচার এবং ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে।

 

১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনার গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় শেখ হাসিনার বেপরোয়া মনোভাবে প্রায় সকল খাতই এখন বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ।ফলাফল হিসেবে দ্রব্যমূল্যের নাভিশ্বাসে, চরম দারিদ্র্যে এবং মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধিতে দুর্বিষহ অবস্থায় আছে সাধারণ মানুষ। ফলে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের ক্রমবিকাশে একদল শুধু ধনী এবং আরেকদল শুধু গরীবই থেকে যাচ্ছে। মাফিয়াতন্ত্রের আদলে সরকারি প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। সেই অর্থের বেশিরভাগ পাচার করা হয়েছে বিদেশে। পরিণামে আমাদের দেশে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকট।

 

এমন দূর্বিষহ পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্তবর্তী সরকার। দেশের মূল চালিকাশক্তি হলো তার টেকসই অর্থনীতি।কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি এতই বেশি যে সময়মত ও সুষ্ঠু বাজেট বাস্তবায়ন এখন দেখা দিয়েছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজস্ব আয়ে ও অর্থ ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেই। যে কারণে অন্তবর্তী সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।

 

এছাড়া চলমান অর্থনীতিতে আরেক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বাজার পরিস্থিতি। বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সরকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বিগত দুই মাস থেকে। শুল্কছাড় দেয়া হয়েছে ছয়টি পণ্যে। যথা: চাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু এবং ডিম। কিন্তু তবুও স্বাভাবিক নেই বাজার। ফলে বাড়তি দরেই জিনিস কিনতে হচ্ছে সকল পেশার মানুষকে। এদিকে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও সিন্ডিকেট নিয়ে মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

 

পাইকারিতে প্রায় সব সবজিতে দর কমেছে ২০ টাকা করে। চলতি মাসে ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার।পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির উপর শুল্ক ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। তবুও বাজারে কমছে না চিনির দাম।কমে এসেছে দেশি পেয়াঁজের মজুদও। সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকার ফলে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। তবে পেঁয়াজের সেই ঘাটতি পূরণ হচ্ছে মিয়ানমার, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ থেকে।

 

গরুর মাংসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। বিক্রি হচ্ছে কোথাও ৬৫০ টাকা আবার কোথাও ৭৫০ টাকা কেজি দরে। অপরদিকে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়েছে। এই সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে দর হারিয়েছে ৮৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া গত দেড় মাসে ২৯৬ শেয়ার দর হারিয়েছে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের এখন মাথায় হাত।

 

ঢাকার বাজারের প্রায় ৩০৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনা-বেচাসহ ৩১০ কোটি ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, চলতি দর পতন স্বাভাবিক নয়, কী কারণে এই অস্বাভাবিক দরপতন তা বের করতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। দেশের দ্বিতীয় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জেও ব্যাপক দরপতন হয়েছে।

 

শেয়ারবাজার পতনের জন্য বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দায়ী করছেন বিক্ষুদ্ধ বিনিয়োগকারীরা।এ নিয়ে মতিঝিলে তারা বিক্ষোভকালীন সময়ে তারা জানিয়েছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর নানা পদক্ষেপে এমন দরপতন ঘটছে।বিএসইসির মুখপাত্র নির্বাহি পরিচালক জনাব রেজাউল করিম বলেন, গত কিছুদিন যাবত ব্যাপক দর পতনে ব্যাংকের উচ্চ সুদহার,উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকগণ।

 

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেও শেয়ারবাজার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে না। তাই বর্তমানে বাজার অর্থনীতির সম্প্রসারন ও সংস্কারে সরকার, বিএসইসি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জ স্টকসহ বাজার মধ্যস্থতাকারীদেরও একযোগে কাজের তদারকি পূর্বের তুলনায় বাড়িতে তুলতে হবে। যাতে স্বল্প আয়ের ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনেও স্বস্তি ফিরে আসতে পারে।

 

বাজার অর্থনীতিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল, মেরামত সংক্রান্ত কাজ, নির্মান এবং মালামাল সংগ্রহে অর্থবছরের শুরুতেই সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। যাতে বছরের শেষে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ভার গ্রহণ করতে না হয়। মাফিয়াতন্ত্রের শাসনামলের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, অর্থবছরের শুরুতে অসৎ কর্মচারীরা সরকারের আয়-ব্যয়ে ধীরগতি করার মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিতো। গত পাঁচ বছরে মূল বাজেটের গড়ে ৮১ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের গড়ে ৮৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

 

তাই বছরের শুরুর দিকেই মেরামত ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে হবে। অর্থবছরের শুরুতেই রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি পরিহার করতে হবে। ফলে সরকারি আয়-ব্যয়ে ভারসাম্যহীনতা, অব্যবস্থাপনা এবং বাজার পরিস্থিতির সার্বিক দিক স্থিতিশীল থাকবে। পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করে একটি টেকসই অর্থনীতির কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

বাজার পরিস্থিতি ও আয়-ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতা অর্জনের ৫৩ বছর পেরোলেও আমাদের দেশ দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে রয়েছে এখনও। দেশে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জনের বদলে মানুষ হয়েছে প্রতারিত ও নিষ্পেষিত।আর্থ-সামাজিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক খাতে ঘটেছে অব্যবস্থাপনা, টাকা পাচার এবং ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে।

 

১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনার গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় শেখ হাসিনার বেপরোয়া মনোভাবে প্রায় সকল খাতই এখন বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ।ফলাফল হিসেবে দ্রব্যমূল্যের নাভিশ্বাসে, চরম দারিদ্র্যে এবং মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধিতে দুর্বিষহ অবস্থায় আছে সাধারণ মানুষ। ফলে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের ক্রমবিকাশে একদল শুধু ধনী এবং আরেকদল শুধু গরীবই থেকে যাচ্ছে। মাফিয়াতন্ত্রের আদলে সরকারি প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। সেই অর্থের বেশিরভাগ পাচার করা হয়েছে বিদেশে। পরিণামে আমাদের দেশে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকট।

 

এমন দূর্বিষহ পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্তবর্তী সরকার। দেশের মূল চালিকাশক্তি হলো তার টেকসই অর্থনীতি।কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি এতই বেশি যে সময়মত ও সুষ্ঠু বাজেট বাস্তবায়ন এখন দেখা দিয়েছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজস্ব আয়ে ও অর্থ ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেই। যে কারণে অন্তবর্তী সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।

 

এছাড়া চলমান অর্থনীতিতে আরেক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বাজার পরিস্থিতি। বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সরকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বিগত দুই মাস থেকে। শুল্কছাড় দেয়া হয়েছে ছয়টি পণ্যে। যথা: চাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু এবং ডিম। কিন্তু তবুও স্বাভাবিক নেই বাজার। ফলে বাড়তি দরেই জিনিস কিনতে হচ্ছে সকল পেশার মানুষকে। এদিকে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও সিন্ডিকেট নিয়ে মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

 

পাইকারিতে প্রায় সব সবজিতে দর কমেছে ২০ টাকা করে। চলতি মাসে ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার।পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির উপর শুল্ক ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। তবুও বাজারে কমছে না চিনির দাম।কমে এসেছে দেশি পেয়াঁজের মজুদও। সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকার ফলে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। তবে পেঁয়াজের সেই ঘাটতি পূরণ হচ্ছে মিয়ানমার, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ থেকে।

 

গরুর মাংসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। বিক্রি হচ্ছে কোথাও ৬৫০ টাকা আবার কোথাও ৭৫০ টাকা কেজি দরে। অপরদিকে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়েছে। এই সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে দর হারিয়েছে ৮৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া গত দেড় মাসে ২৯৬ শেয়ার দর হারিয়েছে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের এখন মাথায় হাত।

 

ঢাকার বাজারের প্রায় ৩০৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনা-বেচাসহ ৩১০ কোটি ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, চলতি দর পতন স্বাভাবিক নয়, কী কারণে এই অস্বাভাবিক দরপতন তা বের করতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। দেশের দ্বিতীয় শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জেও ব্যাপক দরপতন হয়েছে।

 

শেয়ারবাজার পতনের জন্য বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দায়ী করছেন বিক্ষুদ্ধ বিনিয়োগকারীরা।এ নিয়ে মতিঝিলে তারা বিক্ষোভকালীন সময়ে তারা জানিয়েছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর নানা পদক্ষেপে এমন দরপতন ঘটছে।বিএসইসির মুখপাত্র নির্বাহি পরিচালক জনাব রেজাউল করিম বলেন, গত কিছুদিন যাবত ব্যাপক দর পতনে ব্যাংকের উচ্চ সুদহার,উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকগণ।

 

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেও শেয়ারবাজার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে না। তাই বর্তমানে বাজার অর্থনীতির সম্প্রসারন ও সংস্কারে সরকার, বিএসইসি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জ স্টকসহ বাজার মধ্যস্থতাকারীদেরও একযোগে কাজের তদারকি পূর্বের তুলনায় বাড়িতে তুলতে হবে। যাতে স্বল্প আয়ের ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনেও স্বস্তি ফিরে আসতে পারে।

 

বাজার অর্থনীতিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল, মেরামত সংক্রান্ত কাজ, নির্মান এবং মালামাল সংগ্রহে অর্থবছরের শুরুতেই সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। যাতে বছরের শেষে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ভার গ্রহণ করতে না হয়। মাফিয়াতন্ত্রের শাসনামলের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, অর্থবছরের শুরুতে অসৎ কর্মচারীরা সরকারের আয়-ব্যয়ে ধীরগতি করার মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিতো। গত পাঁচ বছরে মূল বাজেটের গড়ে ৮১ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের গড়ে ৮৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

 

তাই বছরের শুরুর দিকেই মেরামত ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে হবে। অর্থবছরের শুরুতেই রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি পরিহার করতে হবে। ফলে সরকারি আয়-ব্যয়ে ভারসাম্যহীনতা, অব্যবস্থাপনা এবং বাজার পরিস্থিতির সার্বিক দিক স্থিতিশীল থাকবে। পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করে একটি টেকসই অর্থনীতির কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।