নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রধান সভাপতিকে অতিথি করে আয়োজ্য এক অনুষ্ঠান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে ব্যাপক অসন্তোষ। সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এরকম একটা পোস্ট প্রকাশকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে নানা বিতর্ক।
এরই মধ্যে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে এ ব্যাপারে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সব সময় দুইটা চরিত্র। একদিকে সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট, নৃশংস বাহিনী দিয়ে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন চালায় অন্যদিকে সুশীল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের দিয়ে ফ্যাসিবাদের বয়ান ও বৈধতা তৈরি করে।”
তিনি আরো বলেন, “এটিমের কুখ্যাত প্রোপাগান্ডিস্টরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নৃশংস খুনী নেতাদের জনপরিসরে হাজির করার পর সেটাকে এখন নরমালাইজ করতে বিভিন্ন মিডিয়া প্লাটফর্ম ও সাংবাদিকরা উদ্যোগ নিচ্ছে।
তারা এমনভাব করছে যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ এখন বিরোধী দল। বিরোধী মত হিসেবে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের বক্তব্য প্রচার করার চেষ্টা করছে।”
জুলাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা ভুলে গেছে বাংলাদেশে একটা ম্যাস কিলিং ঘটেছে জুলাই-অগাস্টে যেখানে ছাত্র, শিশু, নারী, শ্রমিকসহ অসংখ্য মানুষের নির্মম মৃত্যু ঘটেছে এবং অসংখ্য জীবন পঙ্গু হয়ে গেছে।
সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখনো গণহত্যা ও পঙ্গুত্বের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ এখন বিচারের কাঠগড়ায়। অথচ আওয়ামী লীগকে নানা কৌশলে নানা আন্দোলনে সমাজে হাজির করতে সচেষ্ট বিভিন্ন শক্তি।”
এবং এধরণের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না বলেও কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “কিন্তু এগুলাতে লাভ হবে না। রক্তের উপর দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে। আওয়ামী সিম্পেথাইজাররা এটা যত দ্রুত মেনে নিবে এবং জনগণের পক্ষে কাজ করবে তত সবার জন্য মঙ্গল। আমরা জানি এ লড়াই চলমান। এবং আমরা সব সময়ের জন্য প্রস্তুত।
যারা মিডিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন, গণহত্যার আসামী ও ফ্যাসিস্টদের প্রচার প্রচারণা করার সুযোগ করে দিবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, একই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরো দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। এসব তোপের মুখে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে বলে এক পোস্টে জানিয়েছেন সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন।