আগামীকাল শুক্রবার থেকে কাঁচাবাজারে নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। তবে সরবরাহকারীরা বলছেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও, বিকল্প কিছু নেই তাদের কাছে।
বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, পলিথিনের গ্রাহক আসছে রোজ। কিন্তু পলিথিন দেওয়া যাচ্ছে না। পলিথিনের বিকল্প কিছু না আসায় আরও সমস্যা।
বিকল্প কিছু আসবে শোনা গেলেও এখনও তা বাজারে আসেনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন বলেন, “এটা সত্য যে পলিথিন পরিবেশ, খাল–নদী ও মাটির জন্য বিপদজনক, তাই এটি বন্ধ হওয়া দরকার।
পাশাপাশি এটিও সত্য যে বাজারে বিকল্প সামগ্রি না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় সরকার গৃহীত পলিথিন বন্ধের ঘোষণা সুফল পায়নি। এবারেও আমরা মনে করি যে সাধারন মানুষ এখনও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি। এখনও বিকল্প কিছু বাজারে আসেনি। এ অবস্থায় পর্যায়ক্রমে পলিথিন বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।”
এক মাস আগে সুপারশপে পলিথিন নিষিদ্ধের পর, সমস্যায় পড়েন রাজশাহীর ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে ধীরে ধীরে বিকল্প ব্যাগ ব্যবহারের আগ্রহ বাড়ছে তাদের।
দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত দুই দশকের বেশি সময় নজরদারি ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় তা ভুলেই গেছেন সাধারণ মানুষ। নতুন করে আবারো নিষেধাজ্ঞা জারি হলে দেশের কল্যাণ হবে বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।