ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি চাঁদপুরে পুকুর খননের সময় মিলল পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে আইন উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার

ইউরোপে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের ‘উদ্বেগজনক’ বৃদ্ধির শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা

ইউরোপজুড়ে মুসলিমরা এখন বর্ণবাদের ‘উদ্বেগজনক বৃদ্ধির’ সঙ্গে লড়াই করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থা এ মন্তব্য করে বলেছে, বর্ণবাদ এমন বেড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে ‘অমানবিক মুসলিমবিদ্বেষী বাগাড়ম্বর’।

ইউরোপে বর্ণবাদের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। জরিপে দেখা গেছে, এতে অংশগ্রহণকারী মুসলিমদের প্রায় অর্ধেকই বলেছেন, সম্প্রতি তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

ইইউ এজেন্সি ফর ফান্ডামেন্টাল রাইটস (এফআরএ) নামের সংস্থাটির এ প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়। ইউরোপের ১৩টি দেশের ৯ হাজার ৬০০ জন মুসলিম নারী–পুরুষ সংস্থাটির জরিপে অংশ নেন।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ইউরোপ মহাদেশজুড়ে বর্ণবাদ ও বৈষম্য মুসলিমদের জীবনযাত্রার অধিকাংশ ক্ষেত্রে তৈরি করছে নানা হুমকি।

মুসলিমরা বলছেন, এ বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রকাশ ঘটছে নানাভাবে। যেমন তাঁদের সন্তানেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছে, চাকরির ক্ষেত্রে অসমতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে, এমনকি বাড়ি কেনা বা ভাড়া নিতে গেলেও পক্ষপাত করা হচ্ছে।

মুসলিমরা বলছেন, এই বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রকাশ ঘটছে নানাভাবে। যেমন তাঁদের সন্তানেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছে, চাকরির ক্ষেত্রে অসমতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে, এমনকি বাড়ি কেনা বা ভাড়া নিতে গেলেও পক্ষপাত করা হচ্ছে।

এই জরিপের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে গত বছরের ৭ অক্টোবরের আগে। ওই দিন ইসরায়েলে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালান ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা। এর প্রতিশোধ নেওয়ার অজুহাত তুলে সেদিন থেকেই গাজায় নারকীয় তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েল।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এফআরএ বলছে, যদিও এ জরিপ ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরুর আগে করা হয়েছে, তবু নাগরিক সংগঠনগুলো ও বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে ওই সংঘাত শুরুর পর থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে।

এ বিষয়ে সংস্থার পরিচালক শিরপা রাউতিয়ো বলেন, ‘ইউরোপে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আমরা বর্ণবাদ ও বৈষম্য উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে দেখছি। এটি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের কারণে উসকে উঠছে। মুসলিমবিরোধী অমানবিক বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথাবার্তায় মহাদেশজুড়ে এ বর্ণবাদ ও বৈষম্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’

৭ অক্টোবরের পর প্রধানত মুসলিম ও কিছু ইহুদি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা বা বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়া মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা। এসবের মধ্যে আছে জার্মানির বার্লিনে একটি সিনাগগে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা থেকে শুরু করে ফ্রান্সে বিভিন্ন মুসলিম কাউন্সিল এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষকে হুমকিসংবলিত ও অপমানজনক বেশ কিছু চিঠি পাঠানোর ঘটনা।

অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেনের মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলেছে মানবাধিকার সংস্থা এফআরএ। দেখা গেছে, ২০২২ সালের আগে পাঁচ বছরে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁদের ৪৭ শতাংশ। ২০১৬ সালের তুলনায় এটি ৩৯ শতাংশ বেশি।

জনপ্রিয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ

ইউরোপে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের ‘উদ্বেগজনক’ বৃদ্ধির শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা

প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ইউরোপজুড়ে মুসলিমরা এখন বর্ণবাদের ‘উদ্বেগজনক বৃদ্ধির’ সঙ্গে লড়াই করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থা এ মন্তব্য করে বলেছে, বর্ণবাদ এমন বেড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে ‘অমানবিক মুসলিমবিদ্বেষী বাগাড়ম্বর’।

ইউরোপে বর্ণবাদের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। জরিপে দেখা গেছে, এতে অংশগ্রহণকারী মুসলিমদের প্রায় অর্ধেকই বলেছেন, সম্প্রতি তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

ইইউ এজেন্সি ফর ফান্ডামেন্টাল রাইটস (এফআরএ) নামের সংস্থাটির এ প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়। ইউরোপের ১৩টি দেশের ৯ হাজার ৬০০ জন মুসলিম নারী–পুরুষ সংস্থাটির জরিপে অংশ নেন।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ইউরোপ মহাদেশজুড়ে বর্ণবাদ ও বৈষম্য মুসলিমদের জীবনযাত্রার অধিকাংশ ক্ষেত্রে তৈরি করছে নানা হুমকি।

মুসলিমরা বলছেন, এ বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রকাশ ঘটছে নানাভাবে। যেমন তাঁদের সন্তানেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছে, চাকরির ক্ষেত্রে অসমতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে, এমনকি বাড়ি কেনা বা ভাড়া নিতে গেলেও পক্ষপাত করা হচ্ছে।

মুসলিমরা বলছেন, এই বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রকাশ ঘটছে নানাভাবে। যেমন তাঁদের সন্তানেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছে, চাকরির ক্ষেত্রে অসমতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে, এমনকি বাড়ি কেনা বা ভাড়া নিতে গেলেও পক্ষপাত করা হচ্ছে।

এই জরিপের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে গত বছরের ৭ অক্টোবরের আগে। ওই দিন ইসরায়েলে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালান ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা। এর প্রতিশোধ নেওয়ার অজুহাত তুলে সেদিন থেকেই গাজায় নারকীয় তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েল।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এফআরএ বলছে, যদিও এ জরিপ ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরুর আগে করা হয়েছে, তবু নাগরিক সংগঠনগুলো ও বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে ওই সংঘাত শুরুর পর থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে।

এ বিষয়ে সংস্থার পরিচালক শিরপা রাউতিয়ো বলেন, ‘ইউরোপে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আমরা বর্ণবাদ ও বৈষম্য উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে দেখছি। এটি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের কারণে উসকে উঠছে। মুসলিমবিরোধী অমানবিক বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথাবার্তায় মহাদেশজুড়ে এ বর্ণবাদ ও বৈষম্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’

৭ অক্টোবরের পর প্রধানত মুসলিম ও কিছু ইহুদি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা বা বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়া মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা। এসবের মধ্যে আছে জার্মানির বার্লিনে একটি সিনাগগে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা থেকে শুরু করে ফ্রান্সে বিভিন্ন মুসলিম কাউন্সিল এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষকে হুমকিসংবলিত ও অপমানজনক বেশ কিছু চিঠি পাঠানোর ঘটনা।

অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেনের মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলেছে মানবাধিকার সংস্থা এফআরএ। দেখা গেছে, ২০২২ সালের আগে পাঁচ বছরে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁদের ৪৭ শতাংশ। ২০১৬ সালের তুলনায় এটি ৩৯ শতাংশ বেশি।