ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

বেলুচিস্তানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কঠোর অবস্থান: সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানে চলমান সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পেছনে ভারতের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে, যা এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয় বরং প্রকাশ্য সন্ত্রাসবাদ। রোববার কোয়েটার জেহরি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক গ্র্যান্ড জিরগায় বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আমাদের কাছে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে যে, বেলুচিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলো ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে জবাব দেবে।”

সেনাপ্রধান আরও বলেন, “জাতির পূর্ণ সমর্থন এবং বেলুচ জনগণের সাহসিকতার সঙ্গে আমরা একত্রে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুর মোকাবিলা করবো। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান ছাড়া পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কল্পনাও করা যায় না।”

জিরগায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, বিশেষ করে তথাকথিত ‘ফিতনা আল-হিন্দুস্তান’, বেলুচিস্তানের উন্নয়ন প্রকল্পে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, “এই অপশক্তিগুলোর প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে কোনো ধরনের সহানুভূতি বা সহায়তা বরদাশত করা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠায় জনগণের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত জরুরি।”

প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগী ও অর্থদাতাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “শান্তির শত্রুদের জন্য পাকিস্তানে কোনও জায়গা নেই।”

শাহবাজ শরিফ বেলুচিস্তানের উন্নয়নে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি ও সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ওপর জোর দেন। তিনি বেলুচ জনগণের ঐতিহাসিক অবদানকে স্মরণ করে বলেন, ভারত-প্ররোচিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

জিরগার শেষ পর্যায়ে উপজাতীয় নেতারা দেশের শান্তি ও উন্নয়নের পথে সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে সকালে কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কোয়েটা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। সেখানে তিনি প্রশিক্ষণরত অফিসারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং বেলুচিস্তানের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব ও উদীয়মান হাইব্রিড যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, “ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা দেশের জনগণের উপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে চায়, কিন্তু আমরা তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।”

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

বেলুচিস্তানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কঠোর অবস্থান: সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানে চলমান সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পেছনে ভারতের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে, যা এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয় বরং প্রকাশ্য সন্ত্রাসবাদ। রোববার কোয়েটার জেহরি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক গ্র্যান্ড জিরগায় বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আমাদের কাছে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে যে, বেলুচিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলো ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে জবাব দেবে।”

সেনাপ্রধান আরও বলেন, “জাতির পূর্ণ সমর্থন এবং বেলুচ জনগণের সাহসিকতার সঙ্গে আমরা একত্রে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুর মোকাবিলা করবো। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান ছাড়া পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কল্পনাও করা যায় না।”

জিরগায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, বিশেষ করে তথাকথিত ‘ফিতনা আল-হিন্দুস্তান’, বেলুচিস্তানের উন্নয়ন প্রকল্পে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, “এই অপশক্তিগুলোর প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে কোনো ধরনের সহানুভূতি বা সহায়তা বরদাশত করা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠায় জনগণের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত জরুরি।”

প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগী ও অর্থদাতাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “শান্তির শত্রুদের জন্য পাকিস্তানে কোনও জায়গা নেই।”

শাহবাজ শরিফ বেলুচিস্তানের উন্নয়নে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি ও সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ওপর জোর দেন। তিনি বেলুচ জনগণের ঐতিহাসিক অবদানকে স্মরণ করে বলেন, ভারত-প্ররোচিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

জিরগার শেষ পর্যায়ে উপজাতীয় নেতারা দেশের শান্তি ও উন্নয়নের পথে সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে সকালে কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কোয়েটা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। সেখানে তিনি প্রশিক্ষণরত অফিসারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং বেলুচিস্তানের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব ও উদীয়মান হাইব্রিড যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, “ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা দেশের জনগণের উপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে চায়, কিন্তু আমরা তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।”