জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বরখাস্ত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের দাবিনির্ভর বিক্ষোভের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রোববার (১৮ মে) রাতে আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সাবেক সেনাসদস্যরা গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন ও আন্দোলনে অংশ নেন।
শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাবে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য শোনে। প্রতিনিধি দল জানান, প্রচলিত বিধি-বিধানের আলোকে দাবিগুলো যাচাই ও সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, তৃতীয় পক্ষের ব্যানারে নয়, সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ জানানো হয়।
আইএসপিআরের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে ৮০২টি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেনাবাহিনী মানবিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এসব আবেদন বিবেচনা করছে।
তবে বিবৃতিতে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়, প্রতিনিধি দল ফেরার সময় কিছু উশৃঙ্খল বরখাস্ত সদস্যের উসকানিতে গাড়ির সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য স্লোগান দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী সারাদিন শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।
সেনাবাহিনী সাফ জানায়, যেকোনো উসকানিমূলক ও জনস্বার্থবিরোধী আচরণ, কিংবা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করার মতো কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য। সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।