ঢাকা , সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে গাজায় আরও ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৩ হাজার নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে চলবে ঢাকার ৭ কলেজ, প্রশাসক নিযুক্ত অধ্যাপক ইলিয়াস রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৬ শীর্ষ নেতার পদত্যাগ, নেতৃত্বে দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ী করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানি হুমকির মুখে: জিটিআরআই বরখাস্ত সেনাসদস্যদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর অবস্থান স্পষ্ট করলো আইএসপিআর ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানো দুঃখজনক: আইনজীবীদের মত আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে এমজেএফ-এর গভীর উদ্বেগ চলতি মাসে ৯ ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলার

বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানি হুমকির মুখে: জিটিআরআই

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে বছরে প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রায় ৪২ শতাংশ—এমন তথ্য উঠে এসেছে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) এক প্রতিবেদনে।

 

শনিবার (১৭ মে) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (ডিজিএফটি) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশি তৈরি পোশাক আর কোনো স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি করা যাবে না। কেবল নহভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এসব পণ্য প্রবেশ করতে পারবে।

 

এছাড়া ফল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, রঞ্জক ও কাঠের আসবাবপত্র—এইসব পণ্য আসাম, মিজোরাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্র দিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

জিটিআরআই মনে করে, এই পদক্ষেপ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্যে ক্রমবর্ধমান বাধা এবং চীনের দিকে কূটনৈতিক ঝুঁকে পড়ার প্রতিক্রিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিপুলসংখ্যক ভারতীয় পণ্যের আমদানি সীমিত করেছে এবং ২০২৪ সালে ভারতপন্থী সরকারের পতনের পর চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে।

 

চলতি বছরের মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে ২.১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়, যার মধ্যে রয়েছে তিস্তা নদী উন্নয়ন প্রকল্প। ভারত একে নিজের প্রভাবের বিরুদ্ধে হুমকি হিসেবে দেখছে। ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে ‘স্থলবেষ্টিত’ বলায় ভারতীয় কর্মকর্তারা তা নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।

 

এএনআই জানায়, ২০২৪ সালের শেষভাগ থেকে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে—যেমন সুতা আমদানি বন্ধ, চাল ও অন্যান্য পণ্যে কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং ভারতীয় পণ্যের ট্রানজিটে প্রতি কিলোমিটারে অতিরিক্ত ফি ধার্য।

 

ভারতের অভিযোগ, বাংলাদেশ শুধু নিজের সুবিধামতো শর্ত মানছে এবং ভারতের বাজার প্রবেশাধিকারকে হালকাভাবে নিচ্ছে। দেশটি আলোচনায় আগ্রহী থাকলেও বাংলাদেশকে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে মত দিয়েছে ভারতীয় পক্ষ।

 

বাংলাদেশ প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বড় অংশ। কিন্তু স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এসব পোশাক কেবল দুটি সমুদ্রবন্দর দিয়েই রপ্তানি করা যাবে। জিটিআরআই বলছে, এতে বাংলাদেশের রপ্তানি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে।

জনপ্রিয়

ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে গাজায় আরও ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৩ হাজার

বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানি হুমকির মুখে: জিটিআরআই

প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে বছরে প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রায় ৪২ শতাংশ—এমন তথ্য উঠে এসেছে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) এক প্রতিবেদনে।

 

শনিবার (১৭ মে) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (ডিজিএফটি) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশি তৈরি পোশাক আর কোনো স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি করা যাবে না। কেবল নহভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এসব পণ্য প্রবেশ করতে পারবে।

 

এছাড়া ফল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, রঞ্জক ও কাঠের আসবাবপত্র—এইসব পণ্য আসাম, মিজোরাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্র দিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

জিটিআরআই মনে করে, এই পদক্ষেপ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্যে ক্রমবর্ধমান বাধা এবং চীনের দিকে কূটনৈতিক ঝুঁকে পড়ার প্রতিক্রিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিপুলসংখ্যক ভারতীয় পণ্যের আমদানি সীমিত করেছে এবং ২০২৪ সালে ভারতপন্থী সরকারের পতনের পর চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে।

 

চলতি বছরের মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে ২.১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়, যার মধ্যে রয়েছে তিস্তা নদী উন্নয়ন প্রকল্প। ভারত একে নিজের প্রভাবের বিরুদ্ধে হুমকি হিসেবে দেখছে। ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে ‘স্থলবেষ্টিত’ বলায় ভারতীয় কর্মকর্তারা তা নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।

 

এএনআই জানায়, ২০২৪ সালের শেষভাগ থেকে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে—যেমন সুতা আমদানি বন্ধ, চাল ও অন্যান্য পণ্যে কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং ভারতীয় পণ্যের ট্রানজিটে প্রতি কিলোমিটারে অতিরিক্ত ফি ধার্য।

 

ভারতের অভিযোগ, বাংলাদেশ শুধু নিজের সুবিধামতো শর্ত মানছে এবং ভারতের বাজার প্রবেশাধিকারকে হালকাভাবে নিচ্ছে। দেশটি আলোচনায় আগ্রহী থাকলেও বাংলাদেশকে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে মত দিয়েছে ভারতীয় পক্ষ।

 

বাংলাদেশ প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বড় অংশ। কিন্তু স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এসব পোশাক কেবল দুটি সমুদ্রবন্দর দিয়েই রপ্তানি করা যাবে। জিটিআরআই বলছে, এতে বাংলাদেশের রপ্তানি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে।