ঢাকা , সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে গাজায় আরও ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৩ হাজার নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে চলবে ঢাকার ৭ কলেজ, প্রশাসক নিযুক্ত অধ্যাপক ইলিয়াস রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৬ শীর্ষ নেতার পদত্যাগ, নেতৃত্বে দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ী করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানি হুমকির মুখে: জিটিআরআই বরখাস্ত সেনাসদস্যদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর অবস্থান স্পষ্ট করলো আইএসপিআর ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানো দুঃখজনক: আইনজীবীদের মত আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে এমজেএফ-এর গভীর উদ্বেগ চলতি মাসে ৯ ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলার

ইসরায়েলের নতুন নীলনকশা ফাঁস: গাজাকে তিন টুকরো করে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হলে ফিলিস্তিনিদের তিনটি পৃথক নিরাপত্তা অঞ্চলে জোরপূর্বক স্থানান্তরের এক গোপন পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি এই পরিকল্পনার একটি গোপন মানচিত্র ফাঁস হয়েছে, যা কূটনীতিকদের মাধ্যমে ব্রিটেনের সানডে টাইমসের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।

ফাঁস হওয়া মানচিত্র অনুযায়ী, গাজার উত্তর, কেন্দ্র এবং দক্ষিণে চারটি সামরিক নিয়ন্ত্রিত এলাকা তৈরি করা হবে। এর মধ্যেই থাকবে তিনটি বেসামরিক অঞ্চল, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বসবাসে বাধ্য করা হতে পারে। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এমনকি নিজেদের জমি বা বাড়িতে যাতায়াতের জন্যও অনুমতির প্রয়োজন হবে। পণ্য পরিবহনেও চলবে কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তা যাচাই।

সূত্রমতে, এই পরিকল্পনাটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘তৃতীয় পর্যায়: গাজার সম্পূর্ণ দখল’ নামক কৌশলের অংশ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, খান ইউনিসের উত্তরে একটি নতুন সামরিক করিডোর নির্মাণ করা হবে, যা গাজা সিটির দক্ষিণে তৈরি হওয়া নেতজারিম করিডোরের আদলে তৈরি হবে। এই করিডোর গাজার দক্ষিণের রাফার উত্তরের অঞ্চলগুলোকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই ইসরায়েলি বুলডোজার দিয়ে ওই এলাকার জমি খালি করার কাজ শুরু হবে।

এছাড়াও, ইসরায়েল গাজা ও এর সীমান্তের মাঝে একটি ব্যাপক ‘বাফার জোন’ তৈরি করবে, যা পুরো উপত্যকাকে ঘিরে থাকবে। কেন্দ্রীয় গাজায় নতুন সেনা অঞ্চলের গঠন এবং এই বাফার জোন তৈরির কাজ শেষ করতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিকে গাজা দখলের জন্য ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মানচিত্রে আরও দেখা যায়, এই নতুন বেসামরিক অঞ্চলগুলোতে প্রায় এক ডজন নতুন মানবিক সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই বিতরণ ব্যবস্থা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনার একটি বিতর্কিত পরিকল্পনার অংশ। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজাবাসী তাদের নিজ ভূমি ও বসতভিটা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং গোটা উপত্যকাজুড়ে সাধারণ মানুষ চলাচলের স্বাধীনতা হারাবে।

জনপ্রিয়

ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে গাজায় আরও ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৩ হাজার

ইসরায়েলের নতুন নীলনকশা ফাঁস: গাজাকে তিন টুকরো করে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ৮ ঘন্টা আগে

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হলে ফিলিস্তিনিদের তিনটি পৃথক নিরাপত্তা অঞ্চলে জোরপূর্বক স্থানান্তরের এক গোপন পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি এই পরিকল্পনার একটি গোপন মানচিত্র ফাঁস হয়েছে, যা কূটনীতিকদের মাধ্যমে ব্রিটেনের সানডে টাইমসের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।

ফাঁস হওয়া মানচিত্র অনুযায়ী, গাজার উত্তর, কেন্দ্র এবং দক্ষিণে চারটি সামরিক নিয়ন্ত্রিত এলাকা তৈরি করা হবে। এর মধ্যেই থাকবে তিনটি বেসামরিক অঞ্চল, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বসবাসে বাধ্য করা হতে পারে। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এমনকি নিজেদের জমি বা বাড়িতে যাতায়াতের জন্যও অনুমতির প্রয়োজন হবে। পণ্য পরিবহনেও চলবে কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তা যাচাই।

সূত্রমতে, এই পরিকল্পনাটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘তৃতীয় পর্যায়: গাজার সম্পূর্ণ দখল’ নামক কৌশলের অংশ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, খান ইউনিসের উত্তরে একটি নতুন সামরিক করিডোর নির্মাণ করা হবে, যা গাজা সিটির দক্ষিণে তৈরি হওয়া নেতজারিম করিডোরের আদলে তৈরি হবে। এই করিডোর গাজার দক্ষিণের রাফার উত্তরের অঞ্চলগুলোকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই ইসরায়েলি বুলডোজার দিয়ে ওই এলাকার জমি খালি করার কাজ শুরু হবে।

এছাড়াও, ইসরায়েল গাজা ও এর সীমান্তের মাঝে একটি ব্যাপক ‘বাফার জোন’ তৈরি করবে, যা পুরো উপত্যকাকে ঘিরে থাকবে। কেন্দ্রীয় গাজায় নতুন সেনা অঞ্চলের গঠন এবং এই বাফার জোন তৈরির কাজ শেষ করতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিকে গাজা দখলের জন্য ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মানচিত্রে আরও দেখা যায়, এই নতুন বেসামরিক অঞ্চলগুলোতে প্রায় এক ডজন নতুন মানবিক সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই বিতরণ ব্যবস্থা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনার একটি বিতর্কিত পরিকল্পনার অংশ। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজাবাসী তাদের নিজ ভূমি ও বসতভিটা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং গোটা উপত্যকাজুড়ে সাধারণ মানুষ চলাচলের স্বাধীনতা হারাবে।