পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তান জুড়ে দলটির মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযান নিয়ে একটি ইনফোগ্রাফিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে উমর মিডিয়া। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত এপ্রিলে পাকিস্তান জুড়ে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ১১৫ সদস্য নিহত এবং ১৯৯ সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়াও আরও ১২ সদস্যকে মুজাহিদিনরা জীবিত বন্দী করেছেন।
উমর মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, টিটিপির মুজাহিদিনরা চলতি ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের ২১টি অঞ্চলে সর্বমোট ২১৩টি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন। বীরত্বপূর্ণ এসকল অভিযানের মধ্যে মুজাহিদিনরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণ চালিয়েছেন দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে, যার সংখ্যা ৪১টি। আর উত্তর ওয়াজিরিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে আরও ৩৬টি এবং খাইবার এজেন্সিতে ৩০টি অপারেশন চালানো হয়েছে। এমনিভাবে মুজাহিদিনরা ট্যাঙ্কে ২১টি, বাজোউর এজেন্সিতে ১৬টি এবং ডিআই খানে ১২টি অভিযান পরিচালনা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে উপজাতীয় এলাকা থেকে শহরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া টিটিপির ক্রমবর্ধমান এসকল আক্রমণ দলটির পরিধি সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, টিটিপির বীর মুজাহিদদের এসকল অভিযানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩০৪ সদস্য হতাহত হয়েছে, যার মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১১৫ এবং আহতের সংখ্যা ১৯৯ জন। হতাহতের এই তালিকায় সেনা সদস্য রয়েছে ১৪৮ জন, এফসি সদস্য রয়েছে ৬৮ জন, পুলিশ ও সিটিডি সদস্য রয়েছে ৮০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত সদস্য রয়েছে ৮ জন। হতাহতের এই পরিসংখ্যান ছাড়াও মুজাহিদিনরা সামরিক বাহিনীর আরও ১২ সদস্যকে বন্দী করেছেন।
টিটিপি নিশ্চিত করেছে যে, অভিযানের সময় মুজাহিদিনরা সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত ৩৫টি নিরাপত্তা ক্যামেরা, ১৭টি যানবাহন, একটি ড্রোন, ৩টি সামরিক পোস্ট, ১টি সাঁজোয়া যান, ৪টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ১টি জল সরবরাহ কেন্দ্র ধ্বংস করেছেন।
অপরদিকে মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন ৪টি ক্লাশিনকোভ, ৩টি রাইফেল, ১টি মর্টার, ১টি এলএমজি এবং অন্যান্য অনেক গোলাবারুদ।