ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিশ্বজুড়ে মোবাইল গেমারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কাশ্মীর ইস্যুর উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের ৬৩০ বিলিয়ন রুপির রাফাল-এম চুক্তি, বার্তা চীন-পাকিস্তানকে কাশ্মীরে পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারতকে দায়ী করলেন শহীদ আফ্রিদি জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪০০ কোটি টাকা চাইলেন চসিক মেয়র শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী রাখতে কো-কারিকুলার কার্যক্রমে জোর স্টিকার ছাড়া সচিবালয়ে যানবাহন প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণের নির্দেশ, না মানলে বাতিল ও জরিমানার হুঁশিয়ারি রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন, ব্যয় ৪৫২ কোটি টাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত, কওমি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আলুবীজের ন্যায্য মূল্য দাবিতে বগুড়া ও জয়পুরহাটে কৃষকদের মানববন্ধন

কাশ্মীর ইস্যুর উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের ৬৩০ বিলিয়ন রুপির রাফাল-এম চুক্তি, বার্তা চীন-পাকিস্তানকে

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের নৌবাহিনীর জন্য বড় ধরনের সামরিক চুক্তি করল মোদি সরকার। ফ্রান্সের সঙ্গে ৬৩০ বিলিয়ন রুপির বিনিময়ে ২৬টি রাফাল এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত।

এই যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে থাকবে ২২টি এক আসনের ও ৪টি দুই আসনের জেট। ইতোমধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে রয়েছে ৩৬টি রাফাল, তবে নৌবাহিনীর জন্য এটি প্রথমবারের মতো সংযোজন। এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীর বহরে প্রধানত রুশ নির্মিত মিগ-২৯ ব্যবহার হয়ে আসছিল।

রাফাল এম: প্রযুক্তির নতুন মাত্রা

বিশেষভাবে নৌবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা রাফাল এম যুদ্ধবিমানগুলো রণতরী থেকে সরাসরি উড্ডয়ন ও অবতরণে সক্ষম। এতে রয়েছে উন্নত রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা এবং আত্মরক্ষামূলক প্রযুক্তি, যা শত্রু রাডার ও মিসাইল থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। যুদ্ধবিমানটি এয়ার টু এয়ার, এয়ার টু গ্রাউন্ড এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল বহনে সক্ষম।

বিশ্লেষকদের মত: বার্তা চীন ও পাকিস্তানকে

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত শুধু নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে না, বরং চীন ও পাকিস্তানকে কৌশলগত বার্তাও দিচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত ফাইটার পাইলট ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রফুল্ল বক্সী বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের পাশাপাশি চীনকেও একটি বার্তা দেওয়া হলো যে ভারত নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে এখন আরও বেশি সচেতন।”

মানব রচনা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের গবেষক উপমন্যু বসু বলেন, “পাকিস্তান নয়, চীনই ভারতের প্রধান উদ্বেগ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সক্রিয়তা মাথায় রেখেই ভারত তার নৌশক্তিকে দীর্ঘমেয়াদে সাজাচ্ছে।”

অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি

সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ যোশী বলেন, “বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর কাছে একই ধরনের যুদ্ধবিমান থাকা মানে তাদের মধ্যে সমন্বয় বাড়বে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

বিশ্লেষকরা আরও জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের হাতে আসতে এবং পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী হতে সময় লাগবে কয়েক বছর। তবে কৌশলগত দিক থেকে এখনই এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

ফ্রান্স-ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্ক

রাফাল চুক্তি ছাড়াও ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অতীতেও একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায়ই বর্তমান চুক্তি আরও বেশি অর্থবহ হয়ে উঠেছে।


সূত্র: বিবিসি বাংলা

জনপ্রিয়

বিশ্বজুড়ে মোবাইল গেমারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

কাশ্মীর ইস্যুর উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের ৬৩০ বিলিয়ন রুপির রাফাল-এম চুক্তি, বার্তা চীন-পাকিস্তানকে

প্রকাশিত: ৭ ঘন্টা আগে

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের নৌবাহিনীর জন্য বড় ধরনের সামরিক চুক্তি করল মোদি সরকার। ফ্রান্সের সঙ্গে ৬৩০ বিলিয়ন রুপির বিনিময়ে ২৬টি রাফাল এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত।

এই যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে থাকবে ২২টি এক আসনের ও ৪টি দুই আসনের জেট। ইতোমধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে রয়েছে ৩৬টি রাফাল, তবে নৌবাহিনীর জন্য এটি প্রথমবারের মতো সংযোজন। এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীর বহরে প্রধানত রুশ নির্মিত মিগ-২৯ ব্যবহার হয়ে আসছিল।

রাফাল এম: প্রযুক্তির নতুন মাত্রা

বিশেষভাবে নৌবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা রাফাল এম যুদ্ধবিমানগুলো রণতরী থেকে সরাসরি উড্ডয়ন ও অবতরণে সক্ষম। এতে রয়েছে উন্নত রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা এবং আত্মরক্ষামূলক প্রযুক্তি, যা শত্রু রাডার ও মিসাইল থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। যুদ্ধবিমানটি এয়ার টু এয়ার, এয়ার টু গ্রাউন্ড এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল বহনে সক্ষম।

বিশ্লেষকদের মত: বার্তা চীন ও পাকিস্তানকে

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত শুধু নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে না, বরং চীন ও পাকিস্তানকে কৌশলগত বার্তাও দিচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত ফাইটার পাইলট ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রফুল্ল বক্সী বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের পাশাপাশি চীনকেও একটি বার্তা দেওয়া হলো যে ভারত নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে এখন আরও বেশি সচেতন।”

মানব রচনা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের গবেষক উপমন্যু বসু বলেন, “পাকিস্তান নয়, চীনই ভারতের প্রধান উদ্বেগ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সক্রিয়তা মাথায় রেখেই ভারত তার নৌশক্তিকে দীর্ঘমেয়াদে সাজাচ্ছে।”

অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি

সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ যোশী বলেন, “বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর কাছে একই ধরনের যুদ্ধবিমান থাকা মানে তাদের মধ্যে সমন্বয় বাড়বে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

বিশ্লেষকরা আরও জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের হাতে আসতে এবং পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী হতে সময় লাগবে কয়েক বছর। তবে কৌশলগত দিক থেকে এখনই এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

ফ্রান্স-ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্ক

রাফাল চুক্তি ছাড়াও ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অতীতেও একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায়ই বর্তমান চুক্তি আরও বেশি অর্থবহ হয়ে উঠেছে।


সূত্র: বিবিসি বাংলা