চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তরা হলেন পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার ও নগর পরিকল্পনাবিদ সাজ্জাদ ইসলাম।
সম্প্রতি দুদক চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয় থেকে সদ্য ঢাকায় বদলি হওয়া উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবুল কালাম ভূঁইয়া ও মফিজ উদ্দিন হাওলাদার স্থানীয় দুদক কার্যালয়ে তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন। তবে সাজ্জাদ ইসলামের বিষয়ে অনুসন্ধান এখনও চলছে।
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আবুল কালাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি ও তার পরিবারের সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিয়েছেন। অপরদিকে দুই যুগ ধরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত মফিজ উদ্দিন হাওলাদার দাবি করেন, শহরের পালপাড়ায় একটি বহুতল বাড়ি ছাড়া তার আর কোনো সম্পদ নেই। জাহাজসহ অন্যান্য সম্পদের বিষয়ে তিনি নিজেকে মালিক নন বলেও উল্লেখ করেন।
চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া বলেন, তিনি অভিযোগের বিষয়টি শুনেছেন, তবে দুদকের পক্ষ থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, আবুল কালাম ভূঁইয়ার বাড়ি শহরের নাজিরপাড়ায় এবং মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের বাড়ি পালপাড়ায়, যেগুলো একই নকশায় নির্মিত হয়েছে এবং ব্যয়সাধ্য হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তারা।