রাজধানী ঢাকার উত্তর বাড্ডায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত ভোলার মো. ইমনের মরদেহ মৃত্যুর ৮ মাস ২৯ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
ইমন ছিলেন ভোলা সদর উপজেলার আলীনগরের বাসিন্দা এবং ঢাকার উত্তর বাড্ডায় একটি কারখানার শ্রমিক। গত বছরের ২০ জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর নিহতের মা কুলসুম বেগম ঢাকার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৯২ জনকে আসামি করা হয়।
শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান হাফিজ, বাড্ডা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং ইমনের পরিবার।
সহকারী কমিশনার আহসান হাফিজ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে জুলাই আন্দোলন এবং তা ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা ও অভিযোগগুলো।