২২ বছর পর আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানের ওপর থেকে “সন্ত্রাসী গোষ্ঠী” তকমা প্রত্যাহার করলো রাশিয়া। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এক রায়ে তালেবানকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই রায়ের ফলে মস্কো ও কাবুলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও গভীর করার পথ প্রশস্ত হলো।
রাশিয়া ২০০৩ সাল থেকে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছিল। এই সময়ে সংগঠনটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাশিয়ার আইনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো। তবে গত বছর দেশটির নতুন আইনে আদালতের হাতে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। সেই আইনের আওতায় এবার তালেবানকে অবশেষে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক বছরে তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক দৃশ্যমানভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তালেবান প্রতিনিধিরা একাধিকবার রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশ নিয়েছে, যা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র বাহিনীর আফগানিস্তান ছাড়ার পর আগস্টে দেশটির ক্ষমতা নেয় তালেবান। তবে এখনো বিশ্বের কোনো দেশ তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবুও চীন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরান কাবুলে নিজেদের কূটনৈতিক মিশন চালু রেখেছে।
চীন ২০২৩ সালে তালেবান সরকারের অধীনে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে, যা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ। রাশিয়ার সর্বশেষ পদক্ষেপকে অনেকেই বলছেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্য নতুন করে সাজানোর অংশ।
সূত্র: রয়টার্স, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।