কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ঈদের তৃতীয় দিন (২ এপ্রিল) পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল। সৈকতের সী-গাল ও সুগন্ধা পয়েন্টেও ভিড় ছিল লক্ষণীয়। পর্যটকরা সাগরের শীতল জলে স্নান করে নাগরিক জীবনের ক্লান্তি দূর করছিলেন, তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও ছিল।
পর্যটকরা সৈকতে নানা রকম বিনোদন উপভোগ করেছেন—বিচ ছাতার নিচে বসে সাগরের দৃশ্য দেখা, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়ায় চড়া, বালিয়াড়িতে দৌড়াদৌড়ি এবং মোবাইলে ছবি তোলা। কিন্তু হোটেল ভাড়া, যানবাহনের ভাড়া ও খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের প্রথম দিন (৩১ মার্চ) ৩০-৪০ হাজার পর্যটক এলেও দ্বিতীয় দিন (১ এপ্রিল) সংখ্যাটি লাখ ছাড়িয়ে যায়। তৃতীয় দিন আনুমানিক ১ লাখ ৬০-৭০ হাজার পর্যটক সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শহরের সাড়ে ৫ শতাধিক হোটেল ও রিসোর্টে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক থাকতে পারেন। বুধবার সব কক্ষই বুকিংয়ে পূর্ণ ছিল। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হতে পারে । তিনি স্বীকার করেন যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলেও প্রশাসনের সহযোগিতায় এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইফগার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ সোহেল জানান, সমুদ্র সৈকত ছাড়াও মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী ও পাটুয়ারটেক সৈকত, বার্মিজ মার্কেট, আদিনাথ মন্দির এবং ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, অতিরিক্ত ভাড়া ও দাম আদায় রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।