ঢাকা , সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

কানাডার গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক দেশেই আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন। কানাডাও পার পায়নি ট্রাম্পের শুল্ক রোষানল থেকে। তবে এখন নতুন গাড়ি আমদানি শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডা শিগগিরই প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

বুধবার অন্টারিওর কিচেনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কার্নি জানান, বৃহস্পতিবার একটি উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রিসভা বৈঠক ডাকা হয়েছে, যেখানে প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। খবর: রয়টার্সের

তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ “একটি সরাসরি আক্রমণ” এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, আমরা আমাদের কর্মীদের রক্ষা করব, আমাদের কোম্পানিগুলোকে রক্ষা করব, আমাদের দেশকে রক্ষা করব এবং আমরা এটি একসঙ্গে করব।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে উত্তর আমেরিকার সমন্বিত অটো শিল্পে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে, কানাডা ইতোমধ্যেই ১৫৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের পাল্টা শুল্ক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে প্রতিক্রিয়া কখন আসবে, এমন প্রশ্নের জবাবে কার্নি বলেন, “খুব শিগগিরই … আমাদের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। আমরা পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারি,” তবে বিস্তারিত জানাননি।

তিনি আরও বলেন, নন-ট্যারিফ পদক্ষেপ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিকৃত পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে।

এদিকে, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করব যে, আমেরিকানদের ওপর যতটা সম্ভব চাপ সৃষ্টি করা যায়, তবে সেটা যেন কানাডার জনগণের ওপর প্রভাব না ফেলে।”

ফোর্ড জানান, তিনি শিগগিরই কানাডার অন্যান্য প্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং একটি সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করবেন।

ফোর্ড আরও বলেন, আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা – হয় আমরা চুপচাপ বসে থাকব এবং ১৫ বার আমাদের ওপর দিয়ে চলবে, অথবা আমরা কিছুটা কষ্ট স্বীকার করব কিন্তু লড়াই করব। আমি লড়াইয়ের পক্ষেই, কারণ আমি বিশ্বাস করি লড়াই করাই সঠিক পথ।

অন্টারিও কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ, দেশের বৃহত্তম অটোমোবাইল শিল্পের কেন্দ্রস্থল। এই শুল্কের ফলে সেখানে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

কানাডার গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা

প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক দেশেই আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন। কানাডাও পার পায়নি ট্রাম্পের শুল্ক রোষানল থেকে। তবে এখন নতুন গাড়ি আমদানি শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডা শিগগিরই প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

বুধবার অন্টারিওর কিচেনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কার্নি জানান, বৃহস্পতিবার একটি উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রিসভা বৈঠক ডাকা হয়েছে, যেখানে প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। খবর: রয়টার্সের

তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ “একটি সরাসরি আক্রমণ” এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, আমরা আমাদের কর্মীদের রক্ষা করব, আমাদের কোম্পানিগুলোকে রক্ষা করব, আমাদের দেশকে রক্ষা করব এবং আমরা এটি একসঙ্গে করব।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে উত্তর আমেরিকার সমন্বিত অটো শিল্পে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে, কানাডা ইতোমধ্যেই ১৫৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের পাল্টা শুল্ক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে প্রতিক্রিয়া কখন আসবে, এমন প্রশ্নের জবাবে কার্নি বলেন, “খুব শিগগিরই … আমাদের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। আমরা পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারি,” তবে বিস্তারিত জানাননি।

তিনি আরও বলেন, নন-ট্যারিফ পদক্ষেপ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিকৃত পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে।

এদিকে, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করব যে, আমেরিকানদের ওপর যতটা সম্ভব চাপ সৃষ্টি করা যায়, তবে সেটা যেন কানাডার জনগণের ওপর প্রভাব না ফেলে।”

ফোর্ড জানান, তিনি শিগগিরই কানাডার অন্যান্য প্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং একটি সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করবেন।

ফোর্ড আরও বলেন, আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা – হয় আমরা চুপচাপ বসে থাকব এবং ১৫ বার আমাদের ওপর দিয়ে চলবে, অথবা আমরা কিছুটা কষ্ট স্বীকার করব কিন্তু লড়াই করব। আমি লড়াইয়ের পক্ষেই, কারণ আমি বিশ্বাস করি লড়াই করাই সঠিক পথ।

অন্টারিও কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ, দেশের বৃহত্তম অটোমোবাইল শিল্পের কেন্দ্রস্থল। এই শুল্কের ফলে সেখানে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।