ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

 

কবির হোসেন এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর গ্রামের ফজল আকন্দের ছেলে।

এদিকে, তার মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা কেজির মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে ইফতার মাহফিলের সময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে কবির হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। কবির হোসেনের মৃত্যুর পর, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা খুনিদের বিচারের দাবি জানান।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মুনজুর রহমান মুঞ্জু সিকদার, যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল, এবং অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে কবির হোসেনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে।

এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রশওন ইয়াজদানি জানান, একই স্থানে মঙ্গলবার ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল। আহত কবির হোসেনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

 

কবির হোসেন এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর গ্রামের ফজল আকন্দের ছেলে।

এদিকে, তার মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা কেজির মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে ইফতার মাহফিলের সময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে কবির হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। কবির হোসেনের মৃত্যুর পর, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা খুনিদের বিচারের দাবি জানান।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মুনজুর রহমান মুঞ্জু সিকদার, যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল, এবং অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে কবির হোসেনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে।

এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রশওন ইয়াজদানি জানান, একই স্থানে মঙ্গলবার ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল। আহত কবির হোসেনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।