ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত কারাগারে নববর্ষ, তবু হাস্যোজ্জ্বল শাজাহান খান বললেন: ‘বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি’ দেশ-বিদেশে এস আলম গ্রুপের আরও জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান গাইবান্ধায় পরিত্যক্ত কুপে মিলল অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের অর্ধগলিত লাশ নেত্রকোনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানি গ্রেফতার নোয়াখালীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ জারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির আবেদন শুরু সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন: পাঁচটিতে বাদ পড়েছে নজরুল ইসলাম বাবুর নাম ‘প্রো-বাংলাদেশ’ নীতিই অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার: প্রেস সচিব

সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

 

কবির হোসেন এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর গ্রামের ফজল আকন্দের ছেলে।

এদিকে, তার মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা কেজির মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে ইফতার মাহফিলের সময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে কবির হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। কবির হোসেনের মৃত্যুর পর, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা খুনিদের বিচারের দাবি জানান।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মুনজুর রহমান মুঞ্জু সিকদার, যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল, এবং অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে কবির হোসেনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে।

এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রশওন ইয়াজদানি জানান, একই স্থানে মঙ্গলবার ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল। আহত কবির হোসেনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত

সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

 

কবির হোসেন এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর গ্রামের ফজল আকন্দের ছেলে।

এদিকে, তার মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা কেজির মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে ইফতার মাহফিলের সময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে কবির হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। কবির হোসেনের মৃত্যুর পর, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা খুনিদের বিচারের দাবি জানান।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মুনজুর রহমান মুঞ্জু সিকদার, যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল, এবং অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে কবির হোসেনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে।

এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রশওন ইয়াজদানি জানান, একই স্থানে মঙ্গলবার ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল। আহত কবির হোসেনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।