ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

মাইকেল চাকমাকে ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

যিনি গত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি জানান, নিয়ম অনুসারে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মাইকেল চাকমা। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে বলেছেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিলে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবার ও দল অভিযোগ করে। এরপর থেকে তার কোনো হদিস মেলেনি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের দুদিন পর ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন মাইকেল চাকমা। তখন বলেন, ‘আমি কী গ্রহণ করব, না করব এর অধিকার আছে। মূলত শেখ হাসিনা যে খুন গুম করে মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য, আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এগুলো করেছেন। ’ তবে কারা গুম করেছিল, তাদের পরিচয়, চেহারা জানতে পারেননি। প্রশ্ন করাও বারণ ছিল বলে জানান তিনি।

গুম করার ঘটনা বর্ণনা করে মাইকেল চাকমা বলেন, ঢাকার কল্যাণপুরে একটা জায়গায় গিয়েছিলেন। সেখানে পেছন থেকে একজন তার নাম ধরে ডাকেন। তিনি তাকাতেই কয়েকজন মিলে তার জামার কলার, কোমরের বেল্ট ও হাত ধরে ফেলেন। তাৎক্ষণিক একজন মোবাইল ফোনে গাড়ি ডাকেন। দ্রুত গাড়ি চলে আসে এবং তাকে ওই গাড়িতে (মাইক্রোবাসে) তোলা হয়।

গাড়িতে তুলেই হাতে হাতকড়া এবং চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা হয় জানিয়ে মাইকেল বলেন, চোখ বাঁধার আগে চালকের পাশের আসনে একটি ওয়াকিটকি তিনি দেখেছিলেন। পেছনের আসনে কয়েকটি বাটন মোবাইলও দেখেন। পরে ঘণ্টাখানেক যাত্রা করে তাকে একটি স্থানে নেওয়া হয়। সেখানে এক রাত রেখে আরেক জায়গায় নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি পাঁচ বছর তিন মাস ২৭ দিন ছিলেন বলেও জানান।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

মাইকেল চাকমাকে ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

যিনি গত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি জানান, নিয়ম অনুসারে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মাইকেল চাকমা। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে বলেছেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিলে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবার ও দল অভিযোগ করে। এরপর থেকে তার কোনো হদিস মেলেনি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের দুদিন পর ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন মাইকেল চাকমা। তখন বলেন, ‘আমি কী গ্রহণ করব, না করব এর অধিকার আছে। মূলত শেখ হাসিনা যে খুন গুম করে মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য, আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এগুলো করেছেন। ’ তবে কারা গুম করেছিল, তাদের পরিচয়, চেহারা জানতে পারেননি। প্রশ্ন করাও বারণ ছিল বলে জানান তিনি।

গুম করার ঘটনা বর্ণনা করে মাইকেল চাকমা বলেন, ঢাকার কল্যাণপুরে একটা জায়গায় গিয়েছিলেন। সেখানে পেছন থেকে একজন তার নাম ধরে ডাকেন। তিনি তাকাতেই কয়েকজন মিলে তার জামার কলার, কোমরের বেল্ট ও হাত ধরে ফেলেন। তাৎক্ষণিক একজন মোবাইল ফোনে গাড়ি ডাকেন। দ্রুত গাড়ি চলে আসে এবং তাকে ওই গাড়িতে (মাইক্রোবাসে) তোলা হয়।

গাড়িতে তুলেই হাতে হাতকড়া এবং চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা হয় জানিয়ে মাইকেল বলেন, চোখ বাঁধার আগে চালকের পাশের আসনে একটি ওয়াকিটকি তিনি দেখেছিলেন। পেছনের আসনে কয়েকটি বাটন মোবাইলও দেখেন। পরে ঘণ্টাখানেক যাত্রা করে তাকে একটি স্থানে নেওয়া হয়। সেখানে এক রাত রেখে আরেক জায়গায় নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি পাঁচ বছর তিন মাস ২৭ দিন ছিলেন বলেও জানান।