ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সরাসরি ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা হজ্বের নতুন বিধিমালা প্রকাশ করল সৌদি আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে বিগত বছরে ৬ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি গাজায় ৩০ হাজার তরুণ যোদ্ধা নিয়োগ: প্রতিরোধ শক্তির নতুন দিগন্ত আফগান বিমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন তালিবানের ১০ জন পাইলট কালবৈশাখী ঝড়ে মীরসরাইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হাটহাজারীতে গভীর রাতে ডাকাতি, গৃহকর্তাকে কুপিয়ে জখম বুরকিনায় ৪টি শত্রু শিবিরে মুজাহিদদের হামলা: অন্তত ১৭ জান্তা সেনা নিহত

সয়াবিনের পর বাজারে ছোলার দামে অস্থিরতা: একদিনে কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি

বাজারে ছোলার দাম বাড়তি নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। রোজার আগে থেকে স্থিতিশীল থাকা এই পণ্যের দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল, ময়দা, আদা, হলুদ, জিরা ও এলাচের দামও বাড়ছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ছোলা ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর পাড়া-মহল্লার দোকানে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একদিন আগেও ছোলার দাম ১০০-১২০ টাকা ছিল। নয়াবাজারে ছোলা কিনতে আসা মো. আলী হোসেন বলেন, “রোজার আগে ছোলা কিনেছিলাম, কিন্তু এখন দাম ১০ টাকা বেশি হয়ে গেছে।”

নয়াবাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. তুহিন জানান, “রোজার আগে পাইকারি বাজারে ছোলার দাম বাড়েনি, তবে গত বুধবার পাইকারি বাজারে কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে, যার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।”

এছাড়া, মোটা চালের দামও বেড়েছে। সাতদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি কেজি ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগে ৫৫ টাকা ছিল। পাইজাম চাল ৬৫ টাকায় এবং সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “রোজার আগে মিল মালিকরা মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বাড়িয়েছে, যার কারণে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে দাম সমন্বয় করে বিক্রি করা হচ্ছে।”

বাজারে ময়দা, হলুদ, আদা, জিরা ও এলাচের দামও বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত আটা ৫৫ টাকায়, খোলা আটা ৪৫ টাকায়, প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি হলুদ ৪০০ টাকা এবং আমদানি করা হলুদ ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ২০০-২২০ টাকা, জিরা ৭৮০ টাকা এবং এলাচ ৫৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দামও বাড়ছে। ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকায়, দেশি মুরগি ৪৮০-৫৮০ টাকায়, গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১১০০-১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, রাজধানী শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ৭টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া, সিলেটে অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে এক প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই অবস্থায়, বাজারের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের ব্যয় বাড়ছে এবং তাদের জন্য নিত্যপণ্য কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

জনপ্রিয়

সরাসরি ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা

সয়াবিনের পর বাজারে ছোলার দামে অস্থিরতা: একদিনে কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

বাজারে ছোলার দাম বাড়তি নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। রোজার আগে থেকে স্থিতিশীল থাকা এই পণ্যের দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল, ময়দা, আদা, হলুদ, জিরা ও এলাচের দামও বাড়ছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ছোলা ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর পাড়া-মহল্লার দোকানে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একদিন আগেও ছোলার দাম ১০০-১২০ টাকা ছিল। নয়াবাজারে ছোলা কিনতে আসা মো. আলী হোসেন বলেন, “রোজার আগে ছোলা কিনেছিলাম, কিন্তু এখন দাম ১০ টাকা বেশি হয়ে গেছে।”

নয়াবাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. তুহিন জানান, “রোজার আগে পাইকারি বাজারে ছোলার দাম বাড়েনি, তবে গত বুধবার পাইকারি বাজারে কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে, যার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।”

এছাড়া, মোটা চালের দামও বেড়েছে। সাতদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি কেজি ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগে ৫৫ টাকা ছিল। পাইজাম চাল ৬৫ টাকায় এবং সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “রোজার আগে মিল মালিকরা মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বাড়িয়েছে, যার কারণে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে দাম সমন্বয় করে বিক্রি করা হচ্ছে।”

বাজারে ময়দা, হলুদ, আদা, জিরা ও এলাচের দামও বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত আটা ৫৫ টাকায়, খোলা আটা ৪৫ টাকায়, প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি হলুদ ৪০০ টাকা এবং আমদানি করা হলুদ ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ২০০-২২০ টাকা, জিরা ৭৮০ টাকা এবং এলাচ ৫৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দামও বাড়ছে। ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকায়, দেশি মুরগি ৪৮০-৫৮০ টাকায়, গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১১০০-১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, রাজধানী শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ৭টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া, সিলেটে অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে এক প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই অবস্থায়, বাজারের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের ব্যয় বাড়ছে এবং তাদের জন্য নিত্যপণ্য কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে।