ইহুদিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতির সংগ্রামে নতুন উদ্দীপনা আনতে ৩০,০০০ নতুন যোদ্ধা নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে আল-কাসসাম ব্রিগেড। সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। এই উদ্যোগকে ফিলিস্তিনের আত্মরক্ষার এক সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এসব তরুণকে ইজ আদ-দ্বীন আল-কাসসাম ব্রিগেডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গোপন সামরিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আল-আরাবিয়ার তথ্য অনুযায়ী, এই যোদ্ধাদের শহরাঞ্চলের যুদ্ধ, রকেট নিক্ষেপ এবং বিস্ফোরক স্থাপন সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে যে, এই নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে গাজা এবং অন্যান্য অধিকৃত এলাকায় প্রতিরোধ শক্তিকে আরো সুসংগঠিত ও কার্যকর করা হবে। সংগঠনটির মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের ভূমি ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এই যোদ্ধারা হবে প্রতিরোধের মজবুত প্রাচীর।”
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধু সামরিক প্রশিক্ষণই নয়, বরং আদর্শিক শিক্ষা, নেতৃত্বগুণ এবং ফিলিস্তিনের মুক্তির লক্ষ্যে নিবেদিত প্রাণ সৃষ্টিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছে নানা বয়সের উৎসাহী তরুণ, যারা জাতির মুক্তির স্বপ্নকে বাস্তব করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই উদ্যোগ ব্যাপক উৎসাহের জন্ম দিয়েছে। বহু তরুণ ইতোমধ্যেই স্বেচ্ছায় নাম নিবন্ধন করেছেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই পরিকল্পনা শুধু গাজায় নয়, বরং সমগ্র ফিলিস্তিনি জনগণের মনোবলকে জোরদার করবে। অব্যাহত অবরোধ, দমন-পীড়ন ও আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তার বিপরীতে এ এক সাহসী জবাব।