ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে গিয়ে মিজান গ্রুপের ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

নগরের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে গিয়ে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন সাজ্জাদের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি এবং দেশে তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।

 

গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসার পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ–কমিশনার আমিনুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী মোহাম্মদ মিল্লাত (২৪), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ফাহিম (২০) এবং মো. রুবেল (২৬)। পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমরা জানতে পারি বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসার পাশে পরিত্যক্ত ভবনে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী মিল্লাতসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছে। আমরা একটি বিশেষ টিম গঠন করে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি করে বিদেশি পিস্তল ও পিস্তলের ম্যাগাজিন, নয় রাউন্ড গুলি, একটি করে হাঁসুয়া, ছুরি ও পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ১১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।

 

উপ–কমিশনার আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার ঘটনাস্থলে সাজ্জাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা ছিল। সেজন্য মোট ১৬ জনের শক্ত অভিযানিক টিম আমরা গঠন করেছিলাম। সন্ত্রাসীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সংঘাত হয়ে থাকে। সাজ্জাদের সাথেও মিজান গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে এক প্রকার দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমরা অভিযান চালানোর পর মিজান সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

 

সাজ্জাদ ও মিজান রাজনৈতিক কোনো নেতার আশ্রয়–প্রশ্রয়ে রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা রাজনৈতিক আশ্রয়–প্রশ্রয়ে আছে কিনা সেটা আমরা খুঁজে দেখছি। আসলে এই ধরনের সন্ত্রাসীদের কোনো রাজনৈতিক দল নেই।

 

সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ অত্যান্ত কৌশলী। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। তাকে ট্র্যাক করে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আমরা জানতে পেরেছি, সাজ্জাদ দেশেই আছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্যেই আমরা গতকাল অভিযান চালিয়েছি।

 

গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনসহ পৃথক তিনটি মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে গিয়ে মিজান গ্রুপের ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ০৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

নগরের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে গিয়ে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন সাজ্জাদের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি এবং দেশে তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।

 

গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসার পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ–কমিশনার আমিনুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী মোহাম্মদ মিল্লাত (২৪), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ফাহিম (২০) এবং মো. রুবেল (২৬)। পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমরা জানতে পারি বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসার পাশে পরিত্যক্ত ভবনে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী মিল্লাতসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছে। আমরা একটি বিশেষ টিম গঠন করে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি করে বিদেশি পিস্তল ও পিস্তলের ম্যাগাজিন, নয় রাউন্ড গুলি, একটি করে হাঁসুয়া, ছুরি ও পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ১১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।

 

উপ–কমিশনার আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার ঘটনাস্থলে সাজ্জাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা ছিল। সেজন্য মোট ১৬ জনের শক্ত অভিযানিক টিম আমরা গঠন করেছিলাম। সন্ত্রাসীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সংঘাত হয়ে থাকে। সাজ্জাদের সাথেও মিজান গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে এক প্রকার দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমরা অভিযান চালানোর পর মিজান সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

 

সাজ্জাদ ও মিজান রাজনৈতিক কোনো নেতার আশ্রয়–প্রশ্রয়ে রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা রাজনৈতিক আশ্রয়–প্রশ্রয়ে আছে কিনা সেটা আমরা খুঁজে দেখছি। আসলে এই ধরনের সন্ত্রাসীদের কোনো রাজনৈতিক দল নেই।

 

সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ অত্যান্ত কৌশলী। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। তাকে ট্র্যাক করে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আমরা জানতে পেরেছি, সাজ্জাদ দেশেই আছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্যেই আমরা গতকাল অভিযান চালিয়েছি।

 

গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনসহ পৃথক তিনটি মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।