ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সরাসরি ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা হজ্বের নতুন বিধিমালা প্রকাশ করল সৌদি আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে বিগত বছরে ৬ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি গাজায় ৩০ হাজার তরুণ যোদ্ধা নিয়োগ: প্রতিরোধ শক্তির নতুন দিগন্ত আফগান বিমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন তালিবানের ১০ জন পাইলট কালবৈশাখী ঝড়ে মীরসরাইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হাটহাজারীতে গভীর রাতে ডাকাতি, গৃহকর্তাকে কুপিয়ে জখম বুরকিনায় ৪টি শত্রু শিবিরে মুজাহিদদের হামলা: অন্তত ১৭ জান্তা সেনা নিহত

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নে বড়ো ঘাটতি, ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট

গত অর্থবছরের ৭৮৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ২৯২টির আর্থিক এবং ২৮৭টির বাস্তব অগ্রগতি ছিল সন্তোষজনক নয়। এর মধ্যে ৮৯টি প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি ছিল একেবারেই শূন্য, এবং ১২১টি প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ছিল অপর্যাপ্ত। এই তথ্য উঠে এসেছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর প্রতিবেদনে, যা আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

গত বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে সন্তোষজনক অগ্রগতি দেখা যায়নি, এবং একাধিক প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি কম ছিল। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৭৬ থেকে ৮৯ শতাংশ বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ২৪৪টি প্রকল্পের, তবে ১২১টি প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ছিল শূন্য।

আইএমইডির প্রতিবেদনে ১১টি মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে অর্থছাড় না হওয়া, দেরিতে অর্থছাড় হওয়া, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, দরপত্রে দেরি এবং প্রকল্পের ঋণ না পাওয়া উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, মামলাজনিত সমস্যা, ডিপিপি সংশোধন এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করতে দেরি হওয়ার বিষয়গুলোও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া, চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন জানিয়েছেন, “এটি কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।” তবে, এর পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে এবং তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, এতে দেশের অর্থনীতি বা উন্নয়ন কার্যক্রমে তেমন প্রভাব পড়বে না।

এছাড়া, গত বছরের আরএডিপি বরাদ্দের ৮০ দশমিক ৯২ শতাংশ বাস্তবায়িত হলেও, নতুন সংশোধিত এডিপিতে ৪৯ হাজার কোটি টাকার কমতিতে এ বছর প্রায় ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করা হবে।

এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জনপ্রিয়

সরাসরি ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নে বড়ো ঘাটতি, ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট

প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

গত অর্থবছরের ৭৮৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ২৯২টির আর্থিক এবং ২৮৭টির বাস্তব অগ্রগতি ছিল সন্তোষজনক নয়। এর মধ্যে ৮৯টি প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি ছিল একেবারেই শূন্য, এবং ১২১টি প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ছিল অপর্যাপ্ত। এই তথ্য উঠে এসেছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর প্রতিবেদনে, যা আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

গত বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে সন্তোষজনক অগ্রগতি দেখা যায়নি, এবং একাধিক প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি কম ছিল। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৭৬ থেকে ৮৯ শতাংশ বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ২৪৪টি প্রকল্পের, তবে ১২১টি প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ছিল শূন্য।

আইএমইডির প্রতিবেদনে ১১টি মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে অর্থছাড় না হওয়া, দেরিতে অর্থছাড় হওয়া, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, দরপত্রে দেরি এবং প্রকল্পের ঋণ না পাওয়া উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, মামলাজনিত সমস্যা, ডিপিপি সংশোধন এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করতে দেরি হওয়ার বিষয়গুলোও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া, চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন জানিয়েছেন, “এটি কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।” তবে, এর পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে এবং তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, এতে দেশের অর্থনীতি বা উন্নয়ন কার্যক্রমে তেমন প্রভাব পড়বে না।

এছাড়া, গত বছরের আরএডিপি বরাদ্দের ৮০ দশমিক ৯২ শতাংশ বাস্তবায়িত হলেও, নতুন সংশোধিত এডিপিতে ৪৯ হাজার কোটি টাকার কমতিতে এ বছর প্রায় ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করা হবে।

এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।