ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মধুখালীতে ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত লাবণী পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড, আতঙ্কে পর্যটকরা ইউনূস-তারেক বৈঠকে বিচার ও সংস্কার উপেক্ষিত: হাসনাত আবদুল্লাহর মন্তব্য ঠাকুরগাঁওয়ে ফিটনেস ও কাগজবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান, দেড় লাখ টাকা জরিমানা পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে সুফল পাচ্ছেন ফরিদপুরের কৃষকরা মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মোংলা বন্দরে জারি বিশেষ সতর্কতা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডনে আমীর খসরুর বৈঠক রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক আবাসিকে গ্যাস নয়, গ্যাসক্ষেত্রেও থাকবে এলপিজি: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

লিবিয়ার মরুভূমিতে গণকবরের সন্ধান!

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কুফরা শহরের মরুভূমিতে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গণকবর থেকে কমপক্ষে ১৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার লিবিয়ার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ কুফরা শহরের মরুভূমিতে গণকবর এবং বন্দর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করেছে।

লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে অভিবাসীদের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, কুফরা শহরের মরুভূমিতে পাওয়া গণকবর থেকে ২৮ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে সেখানকার একটি আটক কেন্দ্র থেকে অন্তত ৭৬ জন অভিবাসীকে মুক্ত করা হয়েছে।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১ হাজার ৭১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুফরা শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আলওয়াহাতের নিরাপত্তা বাহিনী জিখরা অঞ্চলের গণকবর থেকে ১৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের জাভিয়া শহরের দিলা বন্দর এলাকায় ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ১০ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট।

২০১১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সমর্থনে সংঘটিত এক গণঅভ্যুত্থানে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হন। তারপর থেকে দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে বাঁচতে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে লিবিয়া অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম প্রস্থান পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন নজিরবিহীন অভিবাসন সংকটের মুখোমুখি।

লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, কুফরা শহরে একটি গ্যাং সক্রিয় রয়েছে, যারা অভিবাসীদের ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা অভিবাসীদের সঙ্গে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করে থাকেন। মরুভূমিতে পাওয়া অভিবাসীদের মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার কাজও শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন লিবিয়ার নাগরিক এবং বাকি দু’জন বিদেশি। তবে এই বিদেশিরা কোন দেশের নাগরিক, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

জনপ্রিয়

মধুখালীতে ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত

লিবিয়ার মরুভূমিতে গণকবরের সন্ধান!

প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কুফরা শহরের মরুভূমিতে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গণকবর থেকে কমপক্ষে ১৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার লিবিয়ার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ কুফরা শহরের মরুভূমিতে গণকবর এবং বন্দর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করেছে।

লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে অভিবাসীদের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, কুফরা শহরের মরুভূমিতে পাওয়া গণকবর থেকে ২৮ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে সেখানকার একটি আটক কেন্দ্র থেকে অন্তত ৭৬ জন অভিবাসীকে মুক্ত করা হয়েছে।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১ হাজার ৭১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুফরা শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আলওয়াহাতের নিরাপত্তা বাহিনী জিখরা অঞ্চলের গণকবর থেকে ১৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের জাভিয়া শহরের দিলা বন্দর এলাকায় ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ১০ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট।

২০১১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সমর্থনে সংঘটিত এক গণঅভ্যুত্থানে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হন। তারপর থেকে দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে বাঁচতে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে লিবিয়া অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম প্রস্থান পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন নজিরবিহীন অভিবাসন সংকটের মুখোমুখি।

লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, কুফরা শহরে একটি গ্যাং সক্রিয় রয়েছে, যারা অভিবাসীদের ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা অভিবাসীদের সঙ্গে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করে থাকেন। মরুভূমিতে পাওয়া অভিবাসীদের মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার কাজও শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন লিবিয়ার নাগরিক এবং বাকি দু’জন বিদেশি। তবে এই বিদেশিরা কোন দেশের নাগরিক, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।