ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল শিক্ষা মন্ত্রণালয় গাইবান্ধায় জুয়ার আসর ও অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলে আগুন দিল ক্ষুদ্ধ জনতা হজ ক্যাম্পেইন প্রতারনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করছে সৌদি সুন্দরী তরুণীদের ‘হানি ট্র্যাপে’ ধরা পড়ছে ধনাঢ্য ও প্রভাবশালীরা হাসিনা সরকার পতনের পরেও থামছে না তাণ্ডব—আকবর আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী কোপা দেল রে ফাইনালে ক্লাসিকো উত্তাপ: আনচেলত্তির ভাগ্য নির্ধারণের ম্যাচ আজ চবির ঝুলন্ত সেতু আরো নান্দনিক হচ্ছে ৪৯তম বিসিএস থেকে আসছে যুগোপযোগী নতুন সিলেবাস ‘গ্রোক স্টুডিও’র প্রথম সংস্করণে এলো কোড সম্পাদনা ও গুগল ড্রাইভ সংযোগ সুবিধা এএইচএফ কাপে সেমিফাইনালে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ

ভর্তি পোষ্য কোটা পুনর্বহাল দাবিতে সড়কে রাবি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য। এবার পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পোষ্য কোটা পুনরায় বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বক্তারা বলেন, পোষ্য কোটা তাদের ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ অধিকার। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ সুবিধা পেয়ে আসছেন। তাদের সন্তানেরা সব শর্ত মেনে যোগ্যতার ভিত্তিতেই ভর্তি হয়। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। তখন কিন্তু বলা হয়নি কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নানা জায়গায় কোটা ব্যবস্থা চালু আছে। তাই আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাতিলের প্রতিবাদ ও তা পুনরায় বহালের দাবি জানাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, ‘আমাদের যে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা সেটি অনেক দিন থেকেই বলবত ছিল। আমাদের সন্তানেরা ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করেই এখানে ভর্তি হয়। তাই আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার পুনর্বহাল চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের একটাই দাবি, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা যতদিন আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরে না পাব, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল অবস্থান কর্মসূচি ও পরদিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। এর মধ্যে দাবি মেনে না নিলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তার সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করে শুধুমাত্র সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন; কিন্তু এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সহ-উপাচার্যসহ প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর তারা মুক্ত হন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সেদিন রাতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।

জনপ্রিয়

কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ভর্তি পোষ্য কোটা পুনর্বহাল দাবিতে সড়কে রাবি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশিত: ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য। এবার পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পোষ্য কোটা পুনরায় বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বক্তারা বলেন, পোষ্য কোটা তাদের ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ অধিকার। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ সুবিধা পেয়ে আসছেন। তাদের সন্তানেরা সব শর্ত মেনে যোগ্যতার ভিত্তিতেই ভর্তি হয়। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। তখন কিন্তু বলা হয়নি কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নানা জায়গায় কোটা ব্যবস্থা চালু আছে। তাই আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাতিলের প্রতিবাদ ও তা পুনরায় বহালের দাবি জানাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, ‘আমাদের যে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা সেটি অনেক দিন থেকেই বলবত ছিল। আমাদের সন্তানেরা ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করেই এখানে ভর্তি হয়। তাই আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার পুনর্বহাল চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের একটাই দাবি, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা যতদিন আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরে না পাব, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল অবস্থান কর্মসূচি ও পরদিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। এর মধ্যে দাবি মেনে না নিলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তার সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করে শুধুমাত্র সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন; কিন্তু এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সহ-উপাচার্যসহ প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর তারা মুক্ত হন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সেদিন রাতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।