ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৪ সালে টাকার মূল্য কমেছে ১২.৭২ শতাংশ

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১২ টাকা বৃদ্ধির ফলে বছরজুড়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকার মূল্য কমেছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রতি ১ ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা, যা একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে ১২২ টাকা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ডলারের মূল্য ১২ টাকা বেড়েছে এবং টাকার মূল্যমান ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ টানা তিন বছর ধরে ডলার সংকটে ভুগছে। এর ফলে দেশে ডলারের দাম বেড়েছে এবং টাকার মান আরো কমেছে।

এদিকে ব্যাংকগুলোও ক্রয়-বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রে ডলারের দাম ২ টাকা বাড়িয়েছে। পরে টাকার মান আরও দুই টাকা কমে যায়। ব্যাংকগুলো এখন থেকে আমদানি, ঋণ পরিশোধসহ অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা দরে গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রি করবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোর ডলারের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপের ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে। এতে আমদানি করা পণ্যের দামও বাড়বে, কারণ তাদের আমদানি ব্যয় মেটাতে আরো বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে।

মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব তুলে ধরে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, দুই টাকার অবমূল্যায়ন মানে জিনিসপত্রের দাম অনিবার্যভাবে বাড়বে। এর সঙ্গে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর আরো চাপ পড়বে।

জনপ্রিয়

২০২৪ সালে টাকার মূল্য কমেছে ১২.৭২ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১২ টাকা বৃদ্ধির ফলে বছরজুড়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকার মূল্য কমেছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রতি ১ ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা, যা একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে ১২২ টাকা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ডলারের মূল্য ১২ টাকা বেড়েছে এবং টাকার মূল্যমান ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ টানা তিন বছর ধরে ডলার সংকটে ভুগছে। এর ফলে দেশে ডলারের দাম বেড়েছে এবং টাকার মান আরো কমেছে।

এদিকে ব্যাংকগুলোও ক্রয়-বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রে ডলারের দাম ২ টাকা বাড়িয়েছে। পরে টাকার মান আরও দুই টাকা কমে যায়। ব্যাংকগুলো এখন থেকে আমদানি, ঋণ পরিশোধসহ অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা দরে গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রি করবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোর ডলারের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপের ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে। এতে আমদানি করা পণ্যের দামও বাড়বে, কারণ তাদের আমদানি ব্যয় মেটাতে আরো বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে।

মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব তুলে ধরে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, দুই টাকার অবমূল্যায়ন মানে জিনিসপত্রের দাম অনিবার্যভাবে বাড়বে। এর সঙ্গে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর আরো চাপ পড়বে।