পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রমাণ করতে চাচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, এদেশে তালেবান ঘরানার সরকার আসতে যাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচার দুই দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
তৌহিদ হোসেন বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের পর বিশৃঙ্খলা–অস্থিতরতা দেখা দিয়েছিল। তবে সেটা ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য। খুব দ্রুতই বর্তমান সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পুলিশ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছিল। পরে পুলিশ এলে শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছেড়ে যায়। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর গত সাড়ে তিন মাসে সরকার অনেক কিছু করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গণ–অভ্যুত্থান হওয়ায় গণমাধ্যম, বিশেষ করে ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই অখুশি। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই এখন সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) চালানো হচ্ছে। তারা (ভারতীয় গণমাধ্যম) প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, তালেবান ঘরানার সরকার আসতে যাচ্ছে ইত্যাদি, যা খুবই অন্যায্য।
বাংলাদেশের মানুষ মনে করছে, কোনো ভুল না করেই তাদের ভুক্তভোগী করা হচ্ছে—উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এর নেতিবাচক দিক হলো এসব কোনো পক্ষকেই ভালো কিছু দেবে না। এসব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না, ভারতের জন্যও ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও সিপিডির ভালো যোগাযোগ আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেই যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে সিপিডি তুলে ধরতে পারে যে বাংলাদেশ কী করছে, বাংলাদেশের ভেতরে সত্যিকারের অবস্থা কী।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সম্মাননীয় ফেলো ও বোর্ড সদস্য ফারুক সোবহান বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে যুক্ত করেছে বিবিআইএন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা মেনে নিতে হবে যে এই প্রক্রিয়াও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।