যারা বিগত সময়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় বৈধতা দিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে তারা প্রত্যেকে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের দোসর। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে রাষ্ট্র সংস্কারের তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
জাতীয় পার্টির অবাঞ্ছিত ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে সমন্বয়ক সারজিস বলেন, ‘পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি, সেখানে জাতীয় পার্টি তুচ্ছ বিষয়। শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘এই জাতীয় পার্টির বন্ধুগণ, এই সুবিধাবাদীরা, নিজেরা বিরোধীদলীয় ভূমিকায় আসে একটা গাড়ি পাওয়ার জন্য, মন্ত্রিপাড়ায় একটা বাড়ি পাওয়ার জন্য, কিছু বেতন পাওয়ার জন্য, এমপির সিটটি পাওয়ার জন্য, টেন্ডারবাজি, সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি করার জন্য। এখন এই ভণ্ডরা ভালো সাজতেছে। দেশকে এই অবস্থায় আনার জন্য এদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। এই নিয়ে তাঁরা ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেখানে তাঁরা জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর এবং ‘মেরুদণ্ডহীন’, ফ্যাসিস্টের দালাল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই পোস্টের পর এই দুই সমন্বয়কের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আজ দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলমের রংপুরে আগমনের প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এর আগে ১৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও নেতা সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সারজিস আলম আজ রংপুরে এসে এ বক্তব্য দিলেন। তবে ঢাকায় অন্য কর্মসূচি থাকায় হাসনাত আবদুল্লাহ রংপুরে আসেননি।