ঢাকা , বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত হবে: ড. আলী রীয়াজ বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন চালু: ঢাকায় হাইকমিশনার নৈতিক স্খলনের অভিযোগে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা রিজার্ভে স্বর্ণের গুরুত্ব বাড়াচ্ছে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নেত্রকোনায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মের আড়ালে কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাই আটক এনআইডি সংশোধনের পুরাতন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের ইসরাইলের হামলায় তেহরানে বাংলাদেশি দূতাবাস কর্মকর্তার বাড়ি গুঁড়িয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের আদালতগুলোতে মামলার জট, নিঃস্ব বিচারপ্রার্থীরা ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার, ব্যয় ১৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকা টিসিবি কার্ডে ঘুষের অভিযোগে রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

টানা ব্যবহারে ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরোধকারী ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার

ইরানের সঙ্গে টানা চার দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল দ্রুতগতিতে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার ব্যবহার করছে বলে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই (এমইই)। তিনি জানান, ইসরায়েলকে পুনরায় সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করলেও এসব অস্ত্রের মজুদ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু অংশে আশঙ্কা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরাসরি হামলা চালালে, তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের ওপর ইরান আরও বড় হামলা চালাতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী মজুদ থাকা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী অস্ত্র ‘ভয়ানক মাত্রায়’ কমে যেতে পারে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

তিন-স্তর বিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে ইসরায়েল। তবে ইরানের সাম্প্রতিক হামলা এ ব্যবস্থার সবচেয়ে উন্নত স্তরগুলোকেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

হামাস ও হেজবুল্লাহর ছোট পাল্লার রকেট ও ড্রোন হামলা মোকাবিলায় ব্যবহৃত হয় ‘আয়রন ডোম’। পরবর্তী স্তর ‘ডেভিড’স স্লিং’। এটি ভারী রকেট ও কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম। তৃতীয় স্তরে রয়েছে ‘অ্যারো-২’ ও ‘অ্যারো-৩’, যা ব্যালিস্টিক ও এক্সোঅ্যাটমোসফেরিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম।

তবে দীর্ঘদিন ধরেই ‘অ্যারো’ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জোগান দেওয়া ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত বছরের এপ্রিল মাসে ইরানের প্রথম হামলার পর থেকেই ইসরায়েল ‘অ্যারো’ পুনঃসরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে বলে গত সেপ্টেম্বরেই একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল এমইই। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষের বিরোধী ড্যান ক্যালডওয়েল এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং বিপুল পরিমাণে উৎপাদন করা কঠিন।’

তিনি আরও লেখেন, ‘ধরে নিচ্ছি ইসরায়েলের কাছে অ্যারো ও ডেভিড’স স্লিংয়ের ‘স্টানার’ ক্ষেপণাস্ত্রের ভালোসংখ্যক মজুদ ছিল। তবে হুথি ও ইরানের আগের হামলায় সেগুলোর অনেকটাই ব্যয় হয়ে গেছে। একারণে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে শীঘ্রই তাদের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার সীমিত করা শুরু করতে হবে।’

গত ১৩ জুন থেকে ইরান ইসরায়েলের ওপর অন্তত ৩৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে সোমবার জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস অফিস।

সীমিত সময়, সংকুচিত মজুদ

তবে ইসরায়েলের জন্য কিছুটা স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, তারা ইরানের ওপর আকাশপথে নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মাত্র চার দিনের মধ্যে তেহরানের আকাশে দিনের আলোতেও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা ইরানের ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণক্ষমতা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করায় পদত্যাগ করা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা জোশ পল এমইই-কে বলেন, ‘ইসরায়েল বেছে বেছে ইরানের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। আমরা এখনো জানি না ইরান আরও কত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম। তবে এটা অনেকটা উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ঘাটতির সমস্যা, ক্ষেপণাস্ত্রের না।’

তবে এমইই’র সঙ্গে কথা বলা দুজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরান এখনো তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেনি। আংশিকভাবে এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি যুদ্ধে না টানার কৌশল কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যস্থতাকারী তিনজন আরব কর্মকর্তা সোমবার এমইই-কে বলেন, ‘তারা মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলের হামলায় অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’

যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ-সীমারেখা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা এমইই-কে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন কার্যত যুদ্ধের সহযোদ্ধায় পরিণত হয়েছে, কারণ তারা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।

ইসরায়েলের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঘাটতির বিষয়টি পুষিয়ে দিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র অন্তত একটি ‘টার্মিনাল হাই অল্টিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স’ (থাড) সিস্টেম ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। এছাড়া অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক ‘প্যাট্রিয়ট’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

সোমবার আরেকজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এমইই-কে নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ‘এসএম-৩’ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে।

এসএম-৩ হলো প্যাট্রিয়টের নৌ-সংস্করণ। ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস আর্লেই বার্ক গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল থেকে ইসরায়েল রক্ষায় অংশ নেয়।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালে ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে নৌবাহিনী একদিনেই এক বছরের সমপরিমাণ এসএম-৩ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল।

ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ যখন পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন অঞ্চলটিতে আরও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে।

জাহাজ ট্র্যাকিং তথ্যানুযায়ী, ইউএসএস নিমিটজ বিমানবাহী রণতরী দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এদিকে আগে থেকেই ইউএসএস কার্ল ভিনসন নামের আরেকটি বিমানবাহী রণতরী মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে।

জনপ্রিয়

জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত হবে: ড. আলী রীয়াজ

টানা ব্যবহারে ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরোধকারী ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার

প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে

ইরানের সঙ্গে টানা চার দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল দ্রুতগতিতে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার ব্যবহার করছে বলে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই (এমইই)। তিনি জানান, ইসরায়েলকে পুনরায় সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করলেও এসব অস্ত্রের মজুদ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু অংশে আশঙ্কা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরাসরি হামলা চালালে, তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের ওপর ইরান আরও বড় হামলা চালাতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী মজুদ থাকা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী অস্ত্র ‘ভয়ানক মাত্রায়’ কমে যেতে পারে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

তিন-স্তর বিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে ইসরায়েল। তবে ইরানের সাম্প্রতিক হামলা এ ব্যবস্থার সবচেয়ে উন্নত স্তরগুলোকেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

হামাস ও হেজবুল্লাহর ছোট পাল্লার রকেট ও ড্রোন হামলা মোকাবিলায় ব্যবহৃত হয় ‘আয়রন ডোম’। পরবর্তী স্তর ‘ডেভিড’স স্লিং’। এটি ভারী রকেট ও কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম। তৃতীয় স্তরে রয়েছে ‘অ্যারো-২’ ও ‘অ্যারো-৩’, যা ব্যালিস্টিক ও এক্সোঅ্যাটমোসফেরিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম।

তবে দীর্ঘদিন ধরেই ‘অ্যারো’ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জোগান দেওয়া ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত বছরের এপ্রিল মাসে ইরানের প্রথম হামলার পর থেকেই ইসরায়েল ‘অ্যারো’ পুনঃসরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে বলে গত সেপ্টেম্বরেই একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল এমইই। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষের বিরোধী ড্যান ক্যালডওয়েল এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং বিপুল পরিমাণে উৎপাদন করা কঠিন।’

তিনি আরও লেখেন, ‘ধরে নিচ্ছি ইসরায়েলের কাছে অ্যারো ও ডেভিড’স স্লিংয়ের ‘স্টানার’ ক্ষেপণাস্ত্রের ভালোসংখ্যক মজুদ ছিল। তবে হুথি ও ইরানের আগের হামলায় সেগুলোর অনেকটাই ব্যয় হয়ে গেছে। একারণে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে শীঘ্রই তাদের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার সীমিত করা শুরু করতে হবে।’

গত ১৩ জুন থেকে ইরান ইসরায়েলের ওপর অন্তত ৩৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে সোমবার জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস অফিস।

সীমিত সময়, সংকুচিত মজুদ

তবে ইসরায়েলের জন্য কিছুটা স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, তারা ইরানের ওপর আকাশপথে নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মাত্র চার দিনের মধ্যে তেহরানের আকাশে দিনের আলোতেও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা ইরানের ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণক্ষমতা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করায় পদত্যাগ করা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা জোশ পল এমইই-কে বলেন, ‘ইসরায়েল বেছে বেছে ইরানের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। আমরা এখনো জানি না ইরান আরও কত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম। তবে এটা অনেকটা উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ঘাটতির সমস্যা, ক্ষেপণাস্ত্রের না।’

তবে এমইই’র সঙ্গে কথা বলা দুজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরান এখনো তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেনি। আংশিকভাবে এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি যুদ্ধে না টানার কৌশল কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যস্থতাকারী তিনজন আরব কর্মকর্তা সোমবার এমইই-কে বলেন, ‘তারা মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলের হামলায় অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’

যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ-সীমারেখা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা এমইই-কে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন কার্যত যুদ্ধের সহযোদ্ধায় পরিণত হয়েছে, কারণ তারা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।

ইসরায়েলের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঘাটতির বিষয়টি পুষিয়ে দিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র অন্তত একটি ‘টার্মিনাল হাই অল্টিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স’ (থাড) সিস্টেম ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। এছাড়া অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক ‘প্যাট্রিয়ট’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

সোমবার আরেকজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এমইই-কে নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ‘এসএম-৩’ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে।

এসএম-৩ হলো প্যাট্রিয়টের নৌ-সংস্করণ। ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস আর্লেই বার্ক গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল থেকে ইসরায়েল রক্ষায় অংশ নেয়।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালে ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে নৌবাহিনী একদিনেই এক বছরের সমপরিমাণ এসএম-৩ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল।

ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ যখন পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন অঞ্চলটিতে আরও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে।

জাহাজ ট্র্যাকিং তথ্যানুযায়ী, ইউএসএস নিমিটজ বিমানবাহী রণতরী দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এদিকে আগে থেকেই ইউএসএস কার্ল ভিনসন নামের আরেকটি বিমানবাহী রণতরী মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে।