ঢাকা , বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বেবিচকের দুই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সনদ বিতরণ নোয়াখালীতে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলো জাতীয় নাগরিক পার্টি ভোট টাকার কাছে বিক্রি করা যাবে না, যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ অনলাইন জুয়ায় এক হাজারের বেশি এমএফএস এজেন্ট শনাক্ত করেছে সিআইডি আমরা কোনো শর্ত ছাড়াই ক্ষমা চাই, আমাদের ক্ষমা করে দিন : জামায়াত আমির ন্যাশনাল ব্যাংকের নাম পরিবর্তন, যুক্ত হলো ‘পিএলসি’ এনবিআর থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: হান্নান মাসউদ বরিশালে জালনোট তৈরির সরঞ্জামসহ দুই যুবক গ্রেফতার সীতাকুণ্ডে লুট হওয়া ১২ কোরবানির গরু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ চান্দগাঁওয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ আসামি গ্রেপ্তার

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম মুক্ত

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২১ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তিনি রিভিউ আবেদন করেন।

বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই মামলাটি, কারণ এটি হচ্ছে প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেখানে রিভিউয়ের শুনানির পর ফের আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় নজির সৃষ্টি করেছে।

২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে আজহারুল ইসলাম কারাগারেই রয়েছেন। প্রায় ১৩ বছরের বন্দিজীবন শেষে এবার মুক্তির পথ খুললো তার জন্য।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে সব অভিযোগ থেকে খালাস পেলেন তিনি।

রায়ের পর আইনজীবী এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই রায় ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর আইনি কাঠামো এবং রিভিউ পদ্ধতি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।

জনপ্রিয়

বেবিচকের দুই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সনদ বিতরণ

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম মুক্ত

প্রকাশিত: ১৬ ঘন্টা আগে

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২১ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তিনি রিভিউ আবেদন করেন।

বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই মামলাটি, কারণ এটি হচ্ছে প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেখানে রিভিউয়ের শুনানির পর ফের আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় নজির সৃষ্টি করেছে।

২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে আজহারুল ইসলাম কারাগারেই রয়েছেন। প্রায় ১৩ বছরের বন্দিজীবন শেষে এবার মুক্তির পথ খুললো তার জন্য।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে সব অভিযোগ থেকে খালাস পেলেন তিনি।

রায়ের পর আইনজীবী এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই রায় ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর আইনি কাঠামো এবং রিভিউ পদ্ধতি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।