একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২১ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তিনি রিভিউ আবেদন করেন।
বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই মামলাটি, কারণ এটি হচ্ছে প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেখানে রিভিউয়ের শুনানির পর ফের আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় নজির সৃষ্টি করেছে।
২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে আজহারুল ইসলাম কারাগারেই রয়েছেন। প্রায় ১৩ বছরের বন্দিজীবন শেষে এবার মুক্তির পথ খুললো তার জন্য।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে সব অভিযোগ থেকে খালাস পেলেন তিনি।
রায়ের পর আইনজীবী এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই রায় ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর আইনি কাঠামো এবং রিভিউ পদ্ধতি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।