ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
দুদকের তলবে হাজির হননি উপদেষ্টার সাবেক দুই পিও নরসিংদী স্টেশনে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির অনুমোদন সিলেটে প্রথমবারের মতো চা প্রদর্শনী, চীন-বাংলাদেশ চা বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার ৪১তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৫ কর্মকর্তা চাকরি ছাড়লেন এসএসসি পরীক্ষার আগে শ্রেণিকক্ষে ভাঙচুর করে টিকটক ভিডিও, ৬ শিক্ষার্থী শনাক্ত চবির মূল ক্যাম্পাসে ফিরছে চারুকলা ইনস্টিটিউট, শুরু শ্রেণি কার্যক্রম আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে নাগরিকদের প্রতি ডিএমপির আহ্বান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ভয়াবহ চুকনগর গণহত্যা: ইতিহাসে উপেক্ষিত এক ট্র্যাজেডি

‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্র নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার ভুয়া খবর শনাক্ত করল বাংলাফ্যাক্ট

ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্র নিয়ে ভুয়া সংবাদ প্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

 

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, তুরস্কভিত্তিক একটি এনজিও বাংলাদেশে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর মানচিত্র প্রচার করছে—এমন ভুয়া দাবি করছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। ১৭ মে ইকোনমিক টাইমস এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা পরে আরও অন্তত ১০টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

 

সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে ভারতের অংশবিশেষকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ হিসেবে দেখানো মানচিত্র প্রকাশ করছে।

 

তবে বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ ধরনের কোনো তুরস্কভিত্তিক সংগঠনের অস্তিত্ব বা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানচিত্র প্রদর্শনের প্রমাণ নেই।

 

আসলে, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে ‘ভালো কাজের হালখাতা’ নামের একটি প্রদর্শনীতে ‘বাংলা সালতানাতের’ ঐতিহাসিক মানচিত্র দেখানো হয়, যার সঙ্গে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ ধারণার কোনো সম্পর্ক নেই।

 

এই আয়োজন করেছিল ‘সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ (সিবিএস)’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা কোনো এনজিও নয় এবং তুরস্কভিত্তিকও নয়।

 

সিবিএস জানায়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাদের মানচিত্রকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এ প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 

বাংলাফ্যাক্ট আরও জানায়, ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ একটি পুরনো ভারতীয় ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, যা বাংলাদেশের সরকার বা নীতিমালার সঙ্গে কখনোই সম্পর্কযুক্ত নয়।

 

বর্তমানে বেআইনি পুশইন ইস্যু আলোচনায় থাকায়, একটি নিরীহ প্রদর্শনীকে ইসলামিস্ট কর্মকাণ্ড ও ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

 

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, শুধু এপ্রিল মাসেই অনলাইনে ছড়ানো ২৯৬টি ভুয়া তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাগুলো।

জনপ্রিয়

দুদকের তলবে হাজির হননি উপদেষ্টার সাবেক দুই পিও

‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্র নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার ভুয়া খবর শনাক্ত করল বাংলাফ্যাক্ট

প্রকাশিত: এক ঘন্টা আগে

ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্র নিয়ে ভুয়া সংবাদ প্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

 

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, তুরস্কভিত্তিক একটি এনজিও বাংলাদেশে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর মানচিত্র প্রচার করছে—এমন ভুয়া দাবি করছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। ১৭ মে ইকোনমিক টাইমস এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা পরে আরও অন্তত ১০টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

 

সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে ভারতের অংশবিশেষকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ হিসেবে দেখানো মানচিত্র প্রকাশ করছে।

 

তবে বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ ধরনের কোনো তুরস্কভিত্তিক সংগঠনের অস্তিত্ব বা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানচিত্র প্রদর্শনের প্রমাণ নেই।

 

আসলে, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে ‘ভালো কাজের হালখাতা’ নামের একটি প্রদর্শনীতে ‘বাংলা সালতানাতের’ ঐতিহাসিক মানচিত্র দেখানো হয়, যার সঙ্গে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ ধারণার কোনো সম্পর্ক নেই।

 

এই আয়োজন করেছিল ‘সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ (সিবিএস)’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা কোনো এনজিও নয় এবং তুরস্কভিত্তিকও নয়।

 

সিবিএস জানায়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাদের মানচিত্রকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এ প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 

বাংলাফ্যাক্ট আরও জানায়, ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ একটি পুরনো ভারতীয় ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, যা বাংলাদেশের সরকার বা নীতিমালার সঙ্গে কখনোই সম্পর্কযুক্ত নয়।

 

বর্তমানে বেআইনি পুশইন ইস্যু আলোচনায় থাকায়, একটি নিরীহ প্রদর্শনীকে ইসলামিস্ট কর্মকাণ্ড ও ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

 

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, শুধু এপ্রিল মাসেই অনলাইনে ছড়ানো ২৯৬টি ভুয়া তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাগুলো।