কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর দুটি পৃথক স্থানে একযোগে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। এতে সাবরাং সংলগ্ন নাফ নদীতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও লেদা সীমান্ত এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে সংগঠনটি।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে টেকনাফের সাবরাং ও লেদা সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, ‘নাফ নদীতে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মির সদস্যরা দুই জেলের ওপর গুলি চালায়। এতে হেদায়েত উল্লাহ ও মো. হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। একজনের ডান হাঁটুতে এবং অপরজনের বাম পায়ে গুলি লাগে। বর্তমানে তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
তবে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এমন কোনো আহত রোগী আসেননি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, দুপুরে লেদা সীমান্ত ঘেঁষা নাফ নদী থেকে তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি—এমনটি জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘তিনজনই জেলে নন। কেন তারা নদীতে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত নই। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, তারা নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা গুলি চালিয়ে তাদের ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন আরও জানান, ‘তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আমরা অবগত হয়েছি এবং বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘লেদা সীমান্তের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিরা জেলে, না মাদক কারবারি—এটি এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ ওই এলাকাটি মাদকের বড় বড় চালানের রুট হিসেবে পরিচিত। তারা মিয়ানমারে মাদক আনতে গিয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, নিখোঁজ তিনজনকে ফেরত আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’