ঘাটতি মেটাতে আসছে বাজেটেও উচ্চ সুদের সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে। তবে বাস্তবে নতুন সঞ্চয়ের চেয়ে আগের সঞ্চয় ভাঙাতেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন গ্রাহকরা। ফলে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে বাজেট ঘাটতি মেটানোর বদলে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার চাপই বেশি থাকছে সরকারের ওপর।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতির একটি অংশ মেটানোর লক্ষ্য ছিল সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলন।
কিন্তু জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, আর ফেরত দিতে হয়েছে ৪৩ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। ফলে নিট বিক্রি হয়েছে ঋণাত্মক ৭ হাজার ১৩ কোটি টাকা।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাংক আমানত ও বন্ডে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশি সুদ পাওয়ায় অনেকেই এখন অন্যখাতে ঝুঁকছেন। এছাড়া সঞ্চয়পত্র কিনতে অতিরিক্ত নথিপত্রের ঝামেলা এবং সীমা নির্ধারণ করায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আরও গ্রাহকবান্ধব হয়ে উঠা দরকার এবং সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার প্রত্যাশিত ঋণ পাবে না—এমন শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।