দেশের সীমিত ভূমি ও বন্দর সক্ষমতাকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের লক্ষ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অপারেটরদের যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ২০৩১ সালে বে-টার্মিনাল চালু হলে বদলে যাবে বন্দরের চেহারা এবং বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ।
কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও বঙ্গোপসাগর উপকূলে গড়ে উঠছে একাধিক টার্মিনাল, যা চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিনিয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে আশিক চৌধুরী বলেন, বিশ্বমানের অপারেটর আসলে বন্দরের কার্যকারিতা ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
পরে কর্ণফুলী টানেল এলাকায় ফ্রি ট্রেড জোনের জমি এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বে-টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। জানান, প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে এবং চারটি টার্মিনাল চালু হলে কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার মানুষের, ভবিষ্যতে তা এক লাখে পৌঁছাতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানও বলেন, বে-টার্মিনাল বন্দরের চেহারা বদলে দেবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
পরিদর্শন শেষে দলটি চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মোরিং কন্টেইনার টার্মিনালেও যায়। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক হাবে রূপ নেবে।